২২০৯

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - (কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াতের আদব)

২২০৯-[২৩] ত্বাঊস ইয়ামানী (রহঃ) হতে মুরসালরূপে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হলো, (হে আল্লাহর নবী!) কুরআনে স্বর প্রয়োগ ও উত্তম তিলাওয়াতের দিক দিয়ে কোন্ ব্যক্তি সর্বোত্তম? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যার তিলাওয়াত শুনে তোমার মনে হবে, তিলাওয়াতকারী আল্লাহকে ভয় করছে। বর্ণনাকারী ত্বাঊস বলছেন, ত্বালক্ব (রহঃ) এরূপ তিলাওয়াতকারী ছিলেন। (দারিমী)[1]

وَعَنْ طَاوُوسٍ مُرْسَلًا قَالَ: سُئِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَيُّ النَّاسِ أَحْسَنُ صَوْتًا لِلْقُرْآنِ؟ وَأَحْسَنُ قِرَاءَةً؟ قَالَ: «مَنْ إِذَا سَمِعْتَهُ يقْرَأ أَرَأَيْت أَنَّهُ يَخْشَى اللَّهَ» . قَالَ طَاوُوسٌ: وَكَانَ طَلْقٌ كَذَلِك. رَوَاهُ الدَّارمِيّ

وعن طاووس مرسلا قال: سىل النبي صلى الله عليه وسلم: اي الناس احسن صوتا للقران؟ واحسن قراءة؟ قال: «من اذا سمعته يقرا ارايت انه يخشى الله» . قال طاووس: وكان طلق كذلك. رواه الدارمي

ব্যাখ্যা: কুরআন পঠনের উত্তম আওয়াজ হলো সেটা, যেই স্বরের ভিতরে আল্লাহভীতির ইঙ্গিত পাওয়া যায় এবং কারী পঠিত আয়াতের মধ্যে বর্ণিত শাস্তি ও উপদেশাবলী কথা চিন্তা করে ভীতসন্ত্রস্ত ও চিন্তিত হয়।

‘আল্লামা ‘আবদুল হক দেহলভী (রহঃ) তাঁর ‘‘আল লাম্‘আত’’ গ্রন্থে বলেন, কারী তার সুন্দর সুরের মাধ্যমে ভয়, চিন্তার নিদর্শন প্রকাশ করবে। আসলে পাঠকের ভীতি তার আওয়াজে বুঝা যাবে। এরূপ কন্ঠস্বর হলে সেটা উত্তম সুর।

ইমাম ত্বীবী (রহঃ) বলেন, কুরআনের পাঠক সুমধুর সুরের মাধ্যমে আল্লাহ ভীতির জবাব প্রদানে ব্যস্ত থাকবে। যা কারী ও মনোযোগী শ্রোতার নিকটে প্রকাশ পায়। যেমন তাবি‘ঈ ত্বালক্ব বিন হাবীব ‘আনাযী আল বাসরী।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৮: কুরআনের মর্যাদা (كتاب فضائل القراٰن)