২১৮৫

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

২১৮৫-[৭৭] সা’ঈদ ইবনু মুসাইয়্যাব (রহঃ) মুরসাল হাদীসরূপে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কোন ব্যক্তি সূরা ক্বুল হুওয়াল্ল-হু আহাদ’ দশবার পড়ে, বিনিময়ে তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ তৈরি করা হবে। যে ব্যক্তি বিশবার পড়বে তার জন্য দু’টি। আর যে ব্যক্তি ত্রিশবার পড়বে তার জন্য জান্নাতে তিনটি প্রাসাদ তৈরি করা হবে। এ কথা শুনে ’উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ, হে আল্লাহর রসূল! যদি তা-ই হয় তাহলে তো আমরা অনেক প্রাসাদ লাভ করব। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহর রহমত এর চেয়েও অধিক প্রশস্ত (এতে বিস্ময়ের কিছু নেই হে ’উমার!)। (দারিমী)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ

وَعَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ مُرْسَلًا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ قَرَأَ (قل هُوَ الله أحد)
عشر مَرَّات بني لَهُ بِهَا قَصْرٌ فِي الْجَنَّةِ وَمَنْ قَرَأَ عِشْرِينَ مَرَّةً بُنِي لَهُ بِهَا قَصْرَانِ فِي الْجَنَّةِ وَمَنْ قَرَأَهَا ثَلَاثِينَ مَرَّةً بُنِيَ لَهُ بِهَا ثَلَاثَةُ قُصُورٍ فِي الْجَنَّةِ» . فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِذَا لَنُكَثِّرَنَّ قُصُورَنَا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اللَّهُ أَوْسَعُ من ذَلِك» . رَوَاهُ الدَّارمِيّ

وعن سعيد بن المسيب مرسلا عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «من قرا (قل هو الله احد) عشر مرات بني له بها قصر في الجنة ومن قرا عشرين مرة بني له بها قصران في الجنة ومن قراها ثلاثين مرة بني له بها ثلاثة قصور في الجنة» . فقال عمر بن الخطاب رضي الله عنه: والله يا رسول الله اذا لنكثرن قصورنا. فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «الله اوسع من ذلك» . رواه الدارمي

ব্যাখ্যা: সা‘ঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব একজন বিখ্যাত তাবি‘ঈ ছিলেন। তিনি সাহাবীর নাম উল্লেখ না করে হাদীসটি মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ইমাম সুয়ূত্বী উল্লেখ করেছেন, মুরসাল হাদীসসমূহের মধ্যে সা‘ঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রহঃ)-এর হাদীস হলো আসাহুল মারাসীল। ইমাম হাকিম (রহঃ) অনুরূপ কথা বলেছেন, কেননা তিনি হলেন একজন সাহাবীর সন্তান। তিনি দশজন সাহাবীকে পেয়েছিলেন, হিজাযের শ্রেষ্ঠ সপ্ত ফকীহের প্রধান ব্যক্তি ছিলেন। ইমাম মালিক (রহঃ) এ সপ্ত ফকীহের ইজমাকে গোটা উম্মাতের ইজমা হিসেবে মনে করেছেন। মুতাকাদ্দিমীন ‘উলামাগণ যখন গভীর অনুসন্ধান এবং গবেষণায় লিপ্ত হয়েছেন তখন সা‘ঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রহঃ)-এর মারাসিল-এর একাধিক সহীহ (মুত্তাসিল) সানাদ পেয়ে গেছেন। সুতরাং মুরসাল হাদীস গ্রহণের শর্তসমূহ অন্যের জন্য প্রযোজ্য, সা‘ঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব-এর বেলায় নয়। দশবার সূরা আল ইখলাস পাঠ করলে তার বিনিময় তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ বা বালাখানা তৈরি করা হয়, বিশবার পাঠ করলে দু’টি এবং ত্রিশবার পাঠ করলে তিনটি বালাখানা তৈরি করা হয়, এভাবে প্রতি দশে একটি করে বালাখানা তৈরি হয়। ‘‘উমার (রাঃ) এর কথা ‘‘তাহলে আমরা তো অনেক বালাখানার অধিকারী হব’’। এর ব্যাখ্যায় ‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেন, এর অর্থ হলো প্রতি দশবার পাঠে যখন একটি বালাখানা পাওয়া যাবে তাহলে আমরা অধিক পাঠ করে আমাদের বালাখানা এতো বেশী বাড়িয়ে নেব যার কোন সীমা থাকবে না, আর জান্নাতে কোন জায়গাই বাকী রাখব না।

নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে বললেন, আল্লাহ আরো প্রশস্তময়, এর অর্থ হলো আল্লাহর রহমাত, কুদরত আরো প্রশস্ত। সুতরাং তোমার আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। লুম্‘আত গ্রন্থকার বলেন, ‘উমার (রাঃ)-এর উদ্দেশ্য হলো অধিক সাওয়াবের প্রতি উৎসাহ প্রদান করা।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৮: কুরআনের মর্যাদা (كتاب فضائل القراٰن)