২১৫৪

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

২১৫৪-[৪৬] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোন এক সাহাবী না জেনে কোন একটি কবরের উপর তাঁবু খাটালেন। তিনি হঠাৎ দেখেন, এ কবরে এক ব্যক্তি সূরা ’তাবা-রাকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক’ পড়ছে এমনকি তা শেষ করে ফেলেছে। এরপর ওই সাহাবী রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে তাঁকে এ খবর জানালেন। তিনি বললেন, এটা হচ্ছে (’আযাব হতে) বাধাদানকারী এবং মুক্তিদানকারী। যা পাঠককে আল্লাহ তা’আলার ’আযাব থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে। (তিরমিযী; তিনি বলেছেন, হাদীসটি গরীব)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: ضَرَبَ بَعْضِ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خِبَاءَهُ عَلَى قَبْرٍ وَهُوَ لَا يَحْسَبُ أَنَّهُ قَبْرٌ فَإِذَا فِيهِ إِنْسَان يَقْرَأُ سُورَةَ (تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ)
حَتَّى خَتَمَهَا فَأَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هِيَ الْمَانِعَةُ هِيَ الْمُنْجِيَةُ تُنْجِيهِ مِنْ عَذَابِ الْقَبْر» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيث غَرِيب

وعن ابن عباس قال: ضرب بعض اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم خباءه على قبر وهو لا يحسب انه قبر فاذا فيه انسان يقرا سورة (تبارك الذي بيده الملك) حتى ختمها فاتى النبي صلى الله عليه وسلم فاخبره فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «هي المانعة هي المنجية تنجيه من عذاب القبر» . رواه الترمذي وقال: هذا حديث غريب

ব্যাখ্যা: সাহাবীগণ সর্বদাই জানতেন কবরের উপর বসা, হাঁটা, তার উপর ঘর নির্মাণ করা নিষেধ। কিন্তু উক্ত সাহাবী ঐ কবর সম্পর্কে ওয়াকিফহাল না থাকার কারণে তার উপর তাঁবু খাটিয়েছিলেন। তিনি ঐ কবরে একটি লোককে সূরা তাবা-রাকাল্লাযী বি ইয়াদিহিল মুলক পড়তে শুনলেন।

এ লোকটি কি ঐ কবরবাসী, না মালাক (ফেরেশতা)? এ প্রশ্নের তিনটি মত পাওয়া যায়। কেউ বলেছেন, ঐ কবরবাসীই পাঠ করেছিলেন, কেউ বলেছেন, মালাক মানুষরূপ ধরে কবরে কুরআন তিলাওয়াত করেছিলেন। কেউ আবার বলেছেন, সূরা মুলক-কে আল্লাহ তা‘আলা মানুষের রূপ দিয়ে তিলাওয়াত করাতেন।

এ পড়া কোন সাওয়াবের উদ্দেশে নয়, বরং ঐ লোকটি দুনিয়ায় এ সূরাটি অধিক তিলাওয়াত করতেন এবং ভালোবাসতেন। সুতরাং ঐ ভালোবাসার স্মৃতি রক্ষার্থে এবং ঐ সূরার স্বাদ অনুভবকল্পে আল্লাহ তা‘আলা তার কব্রে ঐ সূরা শোনানোর ব্যবস্থা করেছেন।

এ সূরার নাম দেয়া হয়েছে মুনযিয়্যাহ্, মানিআহ্ মুক্তি দানকারী ও বাধাদানকারী। এর অর্থ হলো এ সূরা তার তিলাওয়াতকারীকে কবরের ‘আযাব থেকে বাধাদানকারী হবে এবং জাহান্নাম ও আল্লাহর আযাব থেকে মুক্তিদানকারী হবে।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৮: কুরআনের মর্যাদা (كتاب فضائل القراٰن)