২১৫২

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

২১৫২-[৪৪] দারিমী মুরসাল হাদীস হিসেবে খালিদ ইবনু মা’দান (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী বলেছেন, হাদীসটি হাসান গরীব।[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَرَوَاهُ الدَّارِمِيُّ عَنْ
خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ مُرْسَلًا
وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ

ورواه الدارمي عن خالد بن معدان مرسلا وقال الترمذي: هذا حديث حسن غريب

ব্যাখ্যা: মুসাব্বাহাত ঐ সমস্ত সূরাগুলোকে বলা হয় যার শুরুতে সাব্বাহা লিল্লা-হ অথবা ইউসাব্বিহূ লিল্লা-হ শব্দ ব্যবহার হয়েছে অথবা সুবহা-না শব্দ ব্যবহার হয়েছে অথবা এর দ্বারা গঠিত ‘আমর বা আদেশবাচক শব্দ ব্যবহার হয়েছে। এ জাতীয় সূরাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সূরা ইসরা-, সূরা হাদীদ, সূরা হাশর, সূরা সফ, সূরা জুমাহ্, সূরা তাগাবুন ও সূরা আ‘লা-।

এ সূরাগুলোর মধ্যে এমন একটি আয়াত রয়েছে যা হাজার আয়াত অপেক্ষাও উত্তম, সে আয়াত কোনটি? এ নিয়ে মনীষীদের বিভিন্ন বক্তব্য রয়েছে।

কেউ বলেছেন, সেই ফাযীলাতপূর্ণ আয়াতটি হলো, ...لَوْ أَنْزَلْنَا هٰذَا الْقُرْآنَ এ আয়াতটি আল্লাহ তা‘আলার ইসমে আ‘যম এর ন্যায়, যা অন্যান্য নামের উপর বিশেষ মর্যাদা রাখে।

হাফেয ইমাদুদ্দীন ইবনু কাসীর (রহঃ) বলেন, সে আয়াতটি হলো,

﴿هُوَ الْأَوَّلُ وَالْآخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ وَهُوَ بِكُلِّ شَىْءٍ عَلِيمٌ﴾

মুল্লা ‘আলী কারী (রহঃ) বলেন, ওটা ঐ আয়াত যার শুরুতে আত্ তাসবীহ রয়েছে।

‘আল্লামা ত্বীবী বলেন, এ আয়াতটি লায়লাতুল কদরের ন্যায় এবং জুমার দিনে দু‘আ কবূল হওয়ার মোক্ষম মুহূর্তের ন্যায় গোপন রাখা হয়েছে, যাতে করে মানুষ তা পাওয়ার আশায় সবই তিলাওয়াত করে ফেলে।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৮: কুরআনের মর্যাদা (كتاب فضائل القراٰن)