২১০৪

পরিচ্ছেদঃ ৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ইতিকাফ

২১০৪-[৮] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’ইতিকাফ’ করার নিয়্যাত করলে (প্রথম) ফজরের সালাত আদায় করতেন। তারপর ইতিকাফের স্থানে প্রবেশ করতেন। (আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ)[1]

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَعْتَكِفَ صَلَّى الْفَجْرَ ثُمَّ دَخَلَ فِي مُعْتَكَفِهِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ

وعن عاىشة رضي الله عنها قالت: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا اراد ان يعتكف صلى الفجر ثم دخل في معتكفه. رواه ابو داود وابن ماجه

ব্যাখ্যা: নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের সালাতের পর নিজেকে মুক্ত করতেন (অর্থাৎ- ইতিকাফের জায়গায় প্রবেশ করতেন) কিন্তু এটাই ইতিকাফের সময়ের শুরু নয়। বরং তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ২১ রাতর সূর্য অস্ত যাওয়া থেকে ইতিকাফ করতেন। তা না হলে ইতিকাফ ১০ দিন পূর্ণ হবে না। সে ব্যাপারে বর্ণিত রয়েছে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ১০ দিন পূর্ণ ইতিকাফ করতেন। আর ১০ দিন কিংবা একমাস পূর্ণ ইতিকাফের ইচ্ছা পোষণকারীর জন্য এটাই জমহূর ‘উলামাগণের নিকট অগ্রগণ্য, আর চার ইমামগণ এমন কথাই বলেছেন। আল হাফেয আল ‘ইরাক্বী এটা উল্লেখ করেছেন এবং শারহু জামিউস্ সগীরেও অনুরূপ বর্ণনা রয়েছে।

আমি (‘উবায়দুল্লাহ মুবারকপূরী) বলব যে, জমহূর ‘উলামাগণ ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীসের ব্যাখ্যা করেছেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতিকাফের নিয়্যাতে মসজিদে প্রবেশ করতেন রাতের প্রথমাংশে কিন্তু তার জন্য প্রস্ত্ততকৃত স্থানে নির্জনে (ইতিকাফের স্থলে) যেতেন ফজর সালাতের পর। ফজর উদিত হওয়ার সময় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদেই থাকতেন। আর ইতিকাফের জন্য প্রস্ত্ততকৃত স্থানে ফজর সালাতের পরে যেতেন। আর জমহূর ‘উলামাগণ উল্লেখিত ব্যাখ্যা প্রণয়ন করেছেন, নিম্নে বর্ণিত দু’টি হাদীসের উপর ‘আমল করার স্বার্থে-

১. সহীহুল বুখারীতে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমাযানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন।

২. আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)  থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমাযানে ১০ দিন ইতিকাফ করতেন। প্রথম হাদীসে পাওয়া যায় ১০ রাত আর দ্বিতীয় হাদীসে রয়েছে ১০ দিন। এ উভয় হাদীসের সমন্বয়ে উল্লেখিত ব্যাখ্যা তারা প্রদান করেছেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৭: সওম (রোযা) (كتاب الصوم)