২১০১

পরিচ্ছেদঃ ৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - ইতিকাফ

২১০১-[৫] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার ’উমার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলেন, (হে আল্লাহর রসূল!) জাহিলিয়্যাতের যুগে আমি এক রাতে মসজিদে হারামে ইতিকাফ করার মানৎ করেছিলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তোমার মানৎ পুরা করো। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ الْاِعْتِكَافِ

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ: أَنَّ عُمَرَ سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: كُنْتُ نَذَرْتُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ أَنْ أَعْتَكِفَ لَيْلَةً فِي الْمَسْجِد الْحَرَام؟ قَالَ: «فأوف بِنَذْرِك»

وعن ابن عمر: ان عمر سال النبي صلى الله عليه وسلم قال: كنت نذرت في الجاهلية ان اعتكف ليلة في المسجد الحرام؟ قال: «فاوف بنذرك»

ব্যাখ্যা: উল্লেখিত হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যায় যে, সিয়াম ছাড়াই ইতিকাফ করা বৈধ। কেননা রাত তো সিয়ামের সময় নয়, আর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানৎ যে গুণাবলীতে আবশ্যক সে গুণাবলীতে পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। (অর্থাৎ- আলোচ্য হাদীস ইবনু ‘উমার রাতে ইতিকাফের মানৎ করেছিলেন) ‘আল্লামা হাফেয আসকালানী (রহঃ) বলেন, ইতিকাফের জন্য যদি সিয়াম শর্ত হত তবে অবশ্যই নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিতেন। বলা হয় যে, ইতিকাফের জন্য সিয়ামের নির্দেশ বর্ণিত রয়েছে, বিশুদ্ধ সানাদে ‘আবদুল্লাহ বিন বুদায়ল এর সূত্রে আবূ দাঊদ ও নাসায়ীতে রয়েছে, নিশ্চয়ই নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ইতিকাফ কর এবং সিয়াম রাখো।

আমি বলব যে, এটি আবূ দাঊদ, নাসায়ী, দারাকুত্বনী, বায়হাক্বী ও হাকিম প্রত্যেকেই ‘আবদুল্লাহ বিন বুদায়ল বিন ওয়ারাকা আল মাক্কী থেকে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু ‘আল্লামা হাফেয দারাকুত্বনী, ইবনু জুরায়জ ইবনু ‘উওয়াইনাহ্, হাম্মাদ বিন সালামাহ্ ও হাম্মাদ বিন যায়দ- সকলের দৃষ্টিতে তিনি য‘ঈফ। আর সহীহুল বুখারীতে ‘উবায়দুল্লাহ বিন ‘উমার হতে বর্ণিত রয়েছে যে, তিনি রাতে ইতিকাফ করলেন। অতএব প্রমাণিত হয় যে, ‘উমার (রাঃ) তার মানতের সিয়াম কিছু বৃদ্ধি করেননি। নিশ্চয়ই ইতিকাফের জন্য সিয়াম জরুরী নয় এবং তার জন্য নির্দিষ্ট কোন সিয়ামও নেই। এখানে লক্ষণীয় বিষয় যে, ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বিশুদ্ধ সানাদে বর্ণিত রয়েছে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাওয়ালের প্রথম দশকে ইতিকাফ করেছেন এবং ঈদুল ফিত্বরের দিনও তো তার অন্তর্ভুক্ত ছিল।

‘আল্লামা আল ইসমা‘ঈলী (রহঃ) বলেন, এখানে সিয়াম ছাড়া ইতিকাফ বৈধ হওয়ার দলীল রয়েছে। কেননা শাওয়ালের প্রথম তারিখে ঈদুল ফিত্বরের দিন আর এ দিনে সিয়াম রাখা হারাম। ‘আল্লামা শাওকানী (রহঃ) বলেন, ‘উমার (রাঃ)-এর হাদীস কাফির থেকে ইসলাম কবূলের পরে কাফির অবস্থায় কৃত মানৎ পূর্ণ করা ওয়াজিব হওয়ার দলীল, শাফি‘ঈ মাযহাবের কতক অনুসারী এ মতই গ্রহণ করছেন। জমহূরের মতে কাফিরের মানৎ সংঘটিত হবে না। তবে ‘উমার (রাঃ)-এর হাদীস তাদের বিরুদ্ধে দলীল।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৭: সওম (রোযা) (كتاب الصوم)