পরিচ্ছেদঃ ৮. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - লায়লাতুল কদর
২০৯৬-[১৪] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ’লায়লাতুল কদর’ শুরু হলে জিবরীল আমীন মালায়িকাহ্’র (ফেরেশতাগণের) দলবলসহ (পৃথিবীতে) নেমে আসেন। তাঁরা দাঁড়িয়ে বা বসে থাকা আল্লাহর স্মরণকারী আল্লাহর প্রত্যেক বান্দার জন্য দু’আ করতে থাকেন। এরপর ঈদুল ফিতরের দিন এলে আল্লাহ তা’আলা মালায়িকার কাছে তাঁর বান্দাদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন, হে আমার মালায়িকাহ্ (ফেরেশতা)! বলো দেখি সে প্রেমিকের কী পুরস্কার হতে পারে যে নিজ কাজ সম্পাদন করেছে? মালায়িকাহ্ (ফেরেশতা) বলেন, হে আমাদের রব! তার পারিশ্রমিক পরিপূর্ণভাবে দিয়ে দেয়াই হচ্ছে তার পুরস্কার। তখন আল্লাহ বলেন, আমার মালায়িকাহ্ (ফেরেশতা)! আমার বান্দা ও বান্দীগণ তাদের ওপর আমার অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছে। আজ (ঈদের দিন) আমার নিকট দু’আর ধ্বনি দিতে দিতে ঈদগাহের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আমার ইজ্জতের, বড়ত্বের, উঁচু শানের কসম! জেনে রাখো তাদের দু’আ আমি নিশ্চয়ই কবূল করব। এরপর আল্লাহ বলেন, আমার (বান্দাগণ)! আমি নিশ্চয়ই তোমাদের সকল অপরাধ মাফ করে দিলাম। তোমাদের গুনাহখাতাগুলোকে নেক কাজে পরিবর্তন করে দিলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, অতঃপর তারা ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে বাড়ী ফিরে যায়। (বায়হাক্বী- শু’আবূল ঈমান)[1]
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا كَانَ لَيْلَةُ الْقَدْرِ نزل جِبْرِيل عَلَيْهِ السَّلَام فِي كُبْكُبَةٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ يُصَلُّونَ عَلَى كُلِّ عَبْدٍ قَائِمٍ أَوْ قَاعِدٍ يَذْكُرُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ فَإِذَا كَانَ يَوْمُ عِيدِهِمْ يَعْنِي يَوْمَ فِطْرِهِمْ بَاهَى بِهِمْ مَلَائِكَتَهُ فَقَالَ: يَا مَلَائِكَتِي مَا جَزَاءُ أَجِيرٍ وَفَّى عَمَلَهُ؟ قَالُوا: رَبَّنَا جَزَاؤُهُ أَنْ يُوَفَّى أَجْرَهُ. قَالَ: مَلَائِكَتِي عَبِيدِي وَإِمَائِي قَضَوْا فَرِيضَتِي عَلَيْهِمْ ثُمَّ خَرَجُوا يَعُجُّونَ إِلَى الدُّعَاءِ وَعِزَّتِي وَجَلَالِي وَكَرَمِي وَعُلُوِّي وَارْتِفَاعِ مَكَاني لأجيبنهم. فَيَقُول: ارْجعُوا فقد غَفَرْتُ لَكُمْ وَبَدَّلْتُ سَيِّئَاتِكُمْ حَسَنَاتٍ. قَالَ: فَيَرْجِعُونَ مَغْفُورًا لَهُمْ . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ
ব্যাখ্যা: আহলুস্ সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত-এর ‘উলামাগণ এ মর্মে একমত হয়েছেন যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তার ‘আরশের উপর সমাসীন এবং তার ‘আরশ সাত আসমানের উপর।
আর اِسْتَوَاءُ হলো اَلْاِرْتِفَاعُ বা উত্তোলন করা, উচ্চাসনে সমাসীন হওয়া। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর ‘আরশের উপর সমাসীন আছেন। আর তাঁর জ্ঞান ও ক্ষমতা সকল স্থানে বিস্তৃত এবং তার ‘আরশে আরোহণ করা বা সমাসীন হওয়াটা বোধগম্যহীন, তার মতো কিছুই নেই।
(আরো জানতে) ফিরে চলুন আয্ যাহাবী (রহঃ)-এর কিতাব ‘‘আল উলূ’’, বায়হাক্বী (রহঃ)-এর রচিত ‘‘কিতাবুল আসমা- ওয়াস্ সিফা-ত’’ এবং ‘আল্লামা শায়খুল ইসলাম তাক্বীউদ্দীন ইবনু তায়মিয়াহ্ (রহঃ)-এর ‘‘মাস্আলাতুল ইস্তাওয়া ‘আলাল ‘আরশি’’ নামক গ্রন্থের দিকে। আল্লাহ আমাদের তাওফীক দান করুন।