২০৫০

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে

২০৫০-[১৫] নুবায়শাহ্ আল হুযালী (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ’আইয়্যামুত তাশরীক’ হলো খানাপিনার ও পান করার এবং আল্লাহর জিকির করার দিন। (মুসলিম)[1]

بَابُ صِيَامِ التَّطَوُّعِ

وَعَنْ نُبَيْشَةَ الْهُذَلِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَيَّامُ التَّشْرِيقِ أَيَّامُ أكل وَشرب وَذكر الله» . رَوَاهُ مُسلم

وعن نبيشة الهذلي قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ايام التشريق ايام اكل وشرب وذكر الله» . رواه مسلم

ব্যাখ্যা: আইয়্যামে তাশারীক হলো কুরবানীর পরবর্তী তিনদিন, অর্থাৎ- কুরবানীর দিন ব্যতীত তার পরবর্তী তিনদিন এবং এটাই ইবনু ‘উমার ও অধিকাংশ ‘উলামাগণের সিদ্ধান্ত। তন্মধ্যে যথাক্রমে চার ইমাম ও তাদের অনুসারীগণ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তবে ইবনু ‘আব্বাস ও ‘আত্বা হতে বর্ণিত রয়েছে যে, আইয়্যামে তাশরীক হলো চারদিন, কুরবানীর দিন ও তার পরবর্তী তিনদিন। আর ‘আত্বা তার নামকরণ করেছেন আইয়্যামে তাশরীক। তবে প্রথম বর্ণিত হাদীস, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আইয়্যামে তাশরীক্বের দিনে সিয়াম পালন করতে নিষেধ করেছেন, আর তা হলো কুরবানীর পরবর্তী তিনদিন। আর ইয়া‘লা  অনুরূপ শব্দে বর্ণনা করেছেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বছরে পাঁচদিনে সিয়াম পালন করতে নিষেধ করেছেন। যথাক্রমে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা ও আইয়্যামে তাশরীক্বের দিন। কুরবানীর গোশ্‌ত (গোসত/গোশত) সূর্যের আলোয় ছড়িয়ে দিয়ে শুকানো হতো বিধায় এর নাম আইয়্যামে তাশরীক নামকরণ করা হয়েছে।

কারো মতে হাদী এবং কুরবানী সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত যাবাহ করা হয় না, বিধায় এর নামকরণ করা হয়েছে আইয়্যামে তাশরীক। আর আলোচ্য হাদীসে (ذِكْرِ اللهِ) দ্বারা আল্লাহ তা‘আলার এ কথার দিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছেঃ

وَاذْكُرُوا اللهِ فِى ايَّامٍ مَعْدُودَاتٍ

‘‘তোমরা নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহকে স্মরণ করবে।’’ (সূরা আল বাকারাহ্ ২ : ২০৩)

অর্থাৎ- এ দিনে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিয়াম পালন করতে নিষেধ করেছেন এবং তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তোমাদের নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহর জিকির করতে যাতে কুপ্রবৃত্তি থেকে বেঁচে থাকা যায়।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৭: সওম (রোযা) (كتاب الصوم)