পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে
২০৪২-[৭] উম্মুল ফাযল বিনতু হারিস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার ’আরাফার দিন আমার সামনে কিছু লোক রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সওম সম্পর্কে তর্কবিতর্ক করছিল। কেউ বলছিল, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আজ সওমে আছেন। আর কেউ বলছিল, না, আজ তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সায়িম নন। তাদের এ তর্কবিতর্ক দেখে আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এক কাপ দুধ পাঠালাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তখন ’আরাফাতের ময়দানে নিজের উটের উপর বসা ছিলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) (পেয়ালা হাতে নিয়ে) দুধ পান করলেন। (মুসলিম)[1]
بَابُ صِيَامِ التَّطَوُّعِ
وَعَنْ أُمِّ الْفَضْلِ بِنْتِ الْحَارِثِ: أَنَّ نَاسًا تَمَارَوْا عِنْدَهَا يَوْمَ عَرَفَةَ فِي صِيَامِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ بَعْضُهُمْ: هُوَ صَائِمٌ وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَيْسَ بِصَائِمٍ فَأَرْسَلْتُ إِلَيْهِ بقدح لبن وَهُوَ وَاقِف عل بعيره بِعَرَفَة فشربه
ব্যাখ্যা: ‘আল্লামা বাজী (রহঃ) বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সিয়াম ভাঙ্গানোটা মানুষদের দেখানোর জন্যই উক্ত স্থানে দুধ পান করলেন, যাতে সহাবায়ে কিরামগণ শার‘ঈ বিধান সম্পর্কে অবগত হতে পারে। আলোচ্য হাদীসের চাহিদা এবং মায়মূনা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসেও আরাফার সিয়াম মুস্তাহাব হওয়ার কোন দলীল নেই। কিন্তু কাতাদাহ্ বর্ণিত হাদীসে রয়েছে যে, নিশ্চয়ই ‘আরাফার সিয়াম আগে ও পরের এক বছরের গুনাহ মাফের কাফফারা। ‘আল্লামা যুরকানী (রহঃ) বলেন, ‘আরাফার দিনে হাজীদের জন্য সিয়াম রাখার চেয়ে তা বর্জন করাই উত্তম। কেননা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা নিজের জন্য পছন্দ করেছেন।
‘আল্লামা খাত্ত্বাবী তাঁর ‘‘আল মা‘আলিম’’ নামক গ্রন্থের ২/১৩১ পৃঃ ‘আরাফার দিনের সিয়াম পালনের নিষেধ সংক্রান্ত আবূ হুরায়রার বর্ণিত হাদীস উল্লেখ করার পর বলেন, এ নিষেধাজ্ঞাটা মুস্তাহাবের জন্য, তা আবশ্যকতার জন্য নয়। আর নিষেধের কারণ হলো, যাতে মানুষ সিয়ামের কারণে দু‘আ, তাসবীহ ও তাহলীল হতে দুর্বল না হয়ে পড়ে। উক্ত যারা ‘আরাফার ময়দানে উপস্থিত হননি তাদের জন্য ঐ দিনের সওম অন্য যে কোন দিনের নফল সওম পালনের চেষ্টা উত্তম, কেননা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘আরাফার সিয়াম আগে ও পরের বছরের গুনাহের কাফফারা।