২০২৯

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মুসাফিরের সওম

২০২৯-[১১] হামযাহ্ ইবনু ’আমর আল আসলামী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রসূল! সফর অবস্থায় আমি সওম পালনে সমর্থ। (না রাখলে) আমার কী কোন গুনাহ হবে? তিনি বললেন, এ ক্ষেত্রে আল্লাহ ’আযযা ওয়াজাল্লা তোমাকে অবকাশ দিয়েছেন। যে ব্যক্তি এ অবকাশ গ্রহণ করবে, সে উত্তম কাজ করবে। আর যে ব্যক্তি সওম রাখা পছন্দ করবে (সে রাখবে), তার কোন গুনাহ হবে না। (মুসলিম)[1]

وَعَن حَمْزَة بن عَمْرو السّلمِيّ أَنَّهُ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَجِدُ بِي قُوَّةً عَلَى الصِّيَامِ فِي السَّفَرِ فَهَلْ عَلَيَّ جُنَاحٌ؟ قَالَ: «هِيَ رُخْصَةٌ مِنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فَمَنْ أَخَذَ بِهَا فَحَسَنٌ وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَصُومَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِ» . رَوَاهُ مُسلم

وعن حمزة بن عمرو السلمي انه قال: يا رسول الله اني اجد بي قوة على الصيام في السفر فهل علي جناح؟ قال: «هي رخصة من الله عز وجل فمن اخذ بها فحسن ومن احب ان يصوم فلا جناح عليه» . رواه مسلم

ব্যাখ্যা: এ মর্মে ‘আল্লামা ‘উবায়দুল্লাহ আল মুবারকপূরী (রহঃ) বলেন, আলোচ্য হাদীসে সাধারণত সফর অবস্থায় সিয়াম পালন না করার উপরই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে, যেমন ইমাম আহমাদের মাযহাব। তবে জমহূর ‘উলামাগণ তার বিপরীত মতামত ব্যক্ত করেছেন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর (فَحَسَنٌ) শব্দের ভিত্তিতে।

‘আল্লামা শাওকানী (রহঃ) বলেন, হাদীসে জিজ্ঞাসাকালীন কথা, ‘আমি সিয়াম পালনে সক্ষম’ এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, নিশ্চয়ই সিয়াম পালন করাটা তার উপর কঠিন নয়। এমন সফরে সিয়াম পালন করলে তার দ্বারা অন্য কোন হকও নষ্ট হবে না।

আল মুনতাক্বী প্রণেতার মতে আলোচ্য হাদীসটি সফর অবস্থায় সিয়াম বর্জনের ফাযীলাতের উপর মজবুত দলীল, কারণ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথা (فَمَنْ أَخَذَ بِهَا فَحَسَنٌ وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَصُومَ فَلَا جُنَاحَ)। সুতরাং প্রমাণিত হলো অব্যাহতি গ্রহণ করাটাই উত্তম। জমহূর ‘উলামাগণ তার জবাবে বলেন, এটা সে ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যার সফরে সিয়াম পালন করলে ক্ষতির আশংকা রয়েছে, অথবা সিয়াম পালন তার জন্য কষ্টকর। যেমন একাধিক হাদীসে তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৭: সওম (রোযা) (كتاب الصوم)