পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
১৯৬৬-[১১] ইবনু ’আব্বাস হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রমাযান (রমজান) মাস শুরু হলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক বন্দীকে মুক্তি দিতেন এবং প্রত্যেক সাহায্যপ্রার্থীকে দান করতেন।[1]
اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا دَخَلَ شَهْرُ رَمَضَانَ أَطْلَقَ كُلَّ أَسِيرٍ وَأَعْطَى كُلَّ سَائِلٍ. رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ
ব্যাখ্যা: (أَطْلَقَ كُلَّ أَسِيرٍ) ‘‘সকল বন্দী মুক্ত করে দিতেন।’’ যদি প্রশ্ন করা হয় যে, কিভাবে সকল বন্দী মুক্ত করে দিতেন? অথচ কোন বন্দীর নিকট কারো অধিকার তথা প্রাপ্য থাকতে পারে।
জওয়াবঃ এখানে বন্দী থেকে উদ্দেশ্য সেই সমস্ত বন্দী যাদেরকে যুদ্ধের ময়দান থেকে বন্দী করে আনা হয়েছে। আর এদেরকে বন্দী করে রাখা বা মুক্তি করে দেয়া, অথবা মুক্তিপণ নেয়া বা গোলাম করে রাখা- এ সকল বিষয়ে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইচ্ছাধীন। আর তাদের মধ্যে এমন কেউ ছিল না যাদের ওপর কারো কোন অধিকার বা পাওনা ছিল। আর পাওনা থেকে থাকলে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাওনাদারকে রাযী করিয়ে বন্দী মুক্ত করে দিতেন।
(وَأَعْطٰى كُلَّ سَائِلٍ) ‘‘প্রত্যেক সওয়ালকারীকে দান করতেন।’’ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনিতে কোন সওয়ালকারীকে বঞ্চিত করতেন না। বিশেষ করে রমাযান (রমজান) মাসে তার সাধারণ অভ্যাসের চেয়েও অধিক দান করতেন।
হাদীসের শিক্ষাঃ
১. রমাযান (রমজান) মাসে দাসমুক্ত করার প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে।
২. এ মাসে দরিদ্রদের প্রতি বিশেষ দানের মাধ্যমে তাদের জীবনে স্বচ্ছলতা আনয়নের প্রচেষ্টা করা।