পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - স্বামীর সম্পদ থেকে স্ত্রীর সদাক্বাহ্ করা
১৯৪৮-[২] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, স্ত্রী তার স্বামীর অর্জিত ধন-সম্পদ হতে তার অনুমতি ছাড়া দান-খয়রাত করলে এর সাওয়াব (স্ত্রী) অর্ধেক পাবে। (বুখারী, মুসলিম)[1]
بَابُ صَدَقَةِ الْمَرْأَةِ مِنْ مَالِ الزَّوْجِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا أَنْفَقَتِ الْمَرْأَةُ مِنْ كَسْبِ زَوْجِهَا مِنْ غَيْرِ أَمْرِهِ فَلَهَا نِصْفُ أَجْرِهِ»
ব্যাখ্যা: (مِنْ غَيْرِ أَمْرِه) সুনির্দিষ্ট কোন অংশের ব্যাপারে স্বামীর আদেশ ছাড়া।
(فَلَهَا نِصْفُ أَجْرِه) বিষয়টি ব্যাখ্যার দাবিদার এভাবে যে, যখন সে স্বামীর সম্পদ থেকে তার প্রয়োজনের অতিরিক্ত খরচ করবে এবং সদাক্বাহ্ (সাদাকা) করবে তাহলে এই অতিরিক্ত খরচের জন্য তাকে জরিমানা দিতে হবে। সুতরাং স্বামী বিষয়টি অবগত হয়ে যদি সন্তুষ্ট হোন তাহলে স্ত্রীর খরচা থেকে সদাক্বাহ্ (সাদাকা) প্রদানের জন্য অর্ধেক নেকী এবং অতিরিক্ত সদাক্বাহ্ (সাদাকা) দেয়ার জন্য অপর অর্ধেক নেকী স্বামী পাবেন। কেননা অতিরিক্ত সম্পদ হলো স্বামীর হক্ব। ‘আল্লামা মুল্লা ‘আলী ক্বারী (রহঃ) এমন মতামত ব্যক্ত করেছেন। হাফিয ইবনু হাজার আসক্বালানী বলেন, উত্তম হলো অর্থটি এভাবে গ্রহণ করা যে, স্ত্রী ঐ সম্পদ থেকে খরচ করেছে যা স্বামী কর্তৃক স্ত্রীর জন্য নির্দিষ্ট ছিল। সুতরাং সেখান থেকে যদি স্বামীর বিনা অনুমতিতে খরচ করে তাহলে তার অর্ধেক নেকী হবে। এক্ষেত্রে উপার্জনের কারণে অপর অর্ধেক নেকী স্বামীর হবে।
ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেন, (قوله من غير أمره) হাদীসে উল্লেখিত (من غير أمره) তথা স্বামীর বিনা অনুমতিতে এ কথার অর্থ হলো স্বামী কর্তৃক স্ত্রীর জন্য নির্দিষ্ট সম্পদটুকুর মধ্যে থেকে খরচ করতে হলেও স্বামীর সুস্পষ্ট অনুমতি থাকা চাই। অন্যথায় সাধারণভাবেও যদি কোন অনুমতিই না থাকে সেক্ষেত্রে তো কোন সাওয়াব তো হবেই না বরং পাপ হবে।