১৯৩০

পরিচ্ছেদঃ ৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - উত্তম সদাক্বার বর্ণনা

১৯৩০-[২] আবূ মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মুসলিম যখন সাওয়াবের প্রত্যাশায় তার পরিবার-পরিজনের জন্য খরচ করে, এ খরচ তার জন্য সদাক্বাহ্ (সাদাকা) হিসেবে গণ্য হয়। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ أَفْضَلِ الصَّدَقَةِ

وَعَنْ أَبِي مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «إِذا أَنْفَقَ الْمُسْلِمُ نَفَقَةً عَلَى أَهْلِهِ وَهُوَ يَحْتَسِبُهَا كَانَت لَهُ صَدَقَة»

وعن ابي مسعود قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «اذا انفق المسلم نفقة على اهله وهو يحتسبها كانت له صدقة»

ব্যাখ্যা: হাদীসে খরচের পরিমাণ নির্দিষ্ট না করে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। তাতে বুঝা যায়, যে কোন পরিমাণ খরচ করলেই এ হাদীস তাকে শামিল করবে। হাদীসে পরিবার বলতে স্ত্রী-সন্তান এবং নিকটাত্মীয় অথবা শুধু স্ত্রীকে বুঝানো হয়েছে। ‘সাওয়াবের আশায় খরচ করা’র অর্থ হলো আল্লাহ ঐ ব্যক্তির ওপর তার পোষ্যদের জন্য যে খরচ করার বাধ্য-বাধ্যকতা আরোপ করেছেন তা স্মরণ করে আল্লাহ কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ পালনের নিয়্যাতে তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশে খরচ করে। হাদীসে বর্ণিত সদাক্বাহ্ (সাদাকা) শব্দটি দ্বারা উদ্দেশ্য সম্পর্কে হাফিয ইবনু হাজার আল্ আসক্বালানী বলেন, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ‘সাওয়াব’। এ হাদীস দ্বারা জানা যায় যে, কোন ‘আমল দ্বারা সাওয়াব অর্জিত হওয়ার শর্ত হলো, ‘আমলটি করার পূর্বে অবশ্যই নিয়্যাত করতে হবে। আল-মুহাল্লাব বলেন, ‘পরিবারের ওপর খরচ করা ওয়াজিব (আবশ্যক)’। এ কথার উপর ইজমা সাব্যস্ত হয়েছে। হাদীসে শারী‘আত প্রণেতা সদাক্বাহ্ (সাদাকা) শব্দটি এজন্য ব্যবহার করেছেন যে, মানুষ যেন এটা ধারণা না করে যে, পরিবারের ওপর আবশ্যিক খরচে কোন সাওয়াব নেই। মূলত এতেও সাওয়াব রয়েছে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৬: যাকাত (كتاب الزكاة)