১৯০৭

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সদাক্বার মর্যাদা

১৯০৭-[২০] ’আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় আগমন করার পর আমি তাঁর কাছে গেলাম। তাঁর ’চেহারা মুবারাক’ দেখেই আমি চিনতে পেরেছি এ কোন মিথ্যাবাদীর চেহারা হতে পারে না। সর্বপ্রথম তিনি যে কথা বলেছিলেন তা ছিল, ’’হে লোকেরা! তোমরা পরস্পর সালাম বিনিময় করো, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সদাচরণ করো, রাতের বেলা যখন লোকেরা ঘুমিয়ে থাকবে, তখন তাহাজ্জুদের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় কর, তাহলে প্রশান্তচিত্তে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, দারিমী)[1]

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ قَالَ: لَمَّا قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ جِئْتُ فَلَمَّا تَبَيَّنْتُ وَجْهَهُ عَرَفْتُ أَنَّ وَجْهَهُ لَيْسَ بِوَجْهِ كَذَّابٍ. فَكَانَ أَوَّلُ مَا قَالَ: «أَيُّهَا النَّاسُ أَفْشُوا السَّلَامَ وَأَطْعِمُوا الطَّعَامَ وَصِلُوا الْأَرْحَامَ وَصَلُّوا بِاللَّيْلِ وَالنَّاسُ نِيَامٌ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ بِسَلام» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه والدارمي

عن عبد الله بن سلام قال: لما قدم النبي صلى الله عليه وسلم المدينة جىت فلما تبينت وجهه عرفت ان وجهه ليس بوجه كذاب. فكان اول ما قال: «ايها الناس افشوا السلام واطعموا الطعام وصلوا الارحام وصلوا بالليل والناس نيام تدخلوا الجنة بسلام» . رواه الترمذي وابن ماجه والدارمي

ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসে (أَيُّهَا النَّاسُ) ‘হে মানব সকল’ বলে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, নির্বিশেষে সকল মানুষকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে। ‘তোমরা সালামের প্রসার ঘটাও’ মানে হচ্ছে তোমরা শুধু পরিচিত জনকেই সালাম দিবে না, অপরিচিত জনকেও সালাম দিবে। খাদ্য খাওয়ানো দ্বারা মূলত যাকাতের আবশ্যক দান ব্যতীত অন্যান্য দান, যেমন- সাধারণ দান, উপহার প্রদান, মেহমানদারি করানো ইত্যাদি বুঝানো হয়েছে। আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করার অর্থ হচ্ছে বংশগত দিক থেকে নিকটাত্মীয়দের সাথে উত্তম ব্যবহার করা এবং তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল, নমনীয় হওয়া ও তাদের সাথে কোমল আচরণ করা। রাতে যখন মানুষ ঘুমিয়ে থাকে তখন নফল সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করার আদেশ এজন্য দেয়া হয়েছে যে, এ সময়টি সাধারণত অমনোযোগিতার সময়। এ সময়ে যারা জেগে থেকে সালাত আদায় করবে তারা অধিক সাওয়াবের অধিকারী হবে এবং লোক দেখানো (রিয়া) বা লোক শুনানো (সুম্‘আহ্) (কোন ‘আমল মানুষকে দেখানো বা শুনানোর জন্য করা হলে তা গোপন শির্কে রূপান্তরিত হয়, এরূপ ‘আমল অবশ্যই বর্জনীয়) থেকে মুক্ত থাকবে। এ কর্মসমূহ যারা সম্পাদন করবে তারা কোনরূপ কষ্ট বা অপছন্দনীয় কাজ থেকে নিরাপদ থাকবে কিংবা জান্নাতে প্রবেশের সময় মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগণ) তাদেরকে সালাম দিবেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৬: যাকাত (كتاب الزكاة)