১৮৯৮

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - সদাক্বার মর্যাদা

১৮৯৮-[১১] আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক ’তাসবীহ’ অর্থাৎ সুবহা-নাল্ল-হ বলা সদাক্বাহ্ (সাদাকা), প্রত্যেক ’তাকবীর’ অর্থাৎ আল্ল-হু আকবার বলা সদাক্বাহ্ (সাদাকা), প্রত্যেক ’তাহমীদ’ বা আলহাম্‌দুলিল্লা-হ বলা সদাক্বাহ্ (সাদাকা)। প্রত্যেক ’তাহলীল’ বা ’লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ’ বলা সদাক্বাহ্ (সাদাকা)। নেককাজের নির্দেশ দেয়া, খারাপ কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখা সদাক্বাহ্ (সাদাকা)। নিজের স্ত্রী অথবা দাসীর সাথে সহবাস করাও সদাক্বাহ্ (সাদাকা)। সাহাবীগণ আরয করলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের কেউ যদি নিজের কামভাব চরিতার্থ করে তাতেও কি সে সাওয়াব পাবে? উত্তরে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমাকে বলো, কোন ব্যক্তি যদি হারাম উপায়ে কামভাব চরিতার্থ করে তাহলে সেকি গুনাহগার হবে না? ঠিক এভাবেই হালাল উপায়ে (স্ত্রী অথবা দাসীর সাথে) কামভাব চরিতার্থকারী সাওয়াব পাবে। (মুসলিম)[1]

بَابُ فَضْلِ الصَّدَقَةِ

وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ بِكُلِّ تَسْبِيحَةٍ صَدَقَةً وَكُلُّ تَكْبِيرَةٍ صَدَقَةٌ وَكُلُّ تَحْمِيدَةٍ صَدَقَةٌ وَكُلُّ تَهْلِيلَةٍ صَدَقَةٌ وَأَمْرٌ بِالْمَعْرُوفِ صَدَقَةٌ وَنَهْيٌ عَنِ الْمُنْكَرِ صَدَقَةٌ وَفِي بُضْعِ أَحَدِكُمْ صَدَقَةٌ» قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيَأْتِي أَحَدُنَا شَهْوَتَهُ وَيَكُونُ لَهُ فِيهَا أَجْرٌ؟ قَالَ: «أَرَأَيْتُمْ لَوْ وَضَعَهَا فِي حَرَامٍ أَكَانَ عَلَيْهِ فِيهِ وِزْرٌ؟ فَكَذَلِكَ إِذَا وَضَعَهَا فِي الْحَلَالِ كَانَ لَهُ أجر» . رَوَاهُ مُسلم

وعن ابي ذر قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ان بكل تسبيحة صدقة وكل تكبيرة صدقة وكل تحميدة صدقة وكل تهليلة صدقة وامر بالمعروف صدقة ونهي عن المنكر صدقة وفي بضع احدكم صدقة» قالوا: يا رسول الله اياتي احدنا شهوته ويكون له فيها اجر؟ قال: «ارايتم لو وضعها في حرام اكان عليه فيه وزر؟ فكذلك اذا وضعها في الحلال كان له اجر» . رواه مسلم

ব্যাখ্যা: (وَفِي بُضْعِ أَحَدِكُمْ صَدَقَةٌ) শব্দটি স্ত্রী সহবাস এবং লজ্জাস্থান দু’টির ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হতে পারে। যেমনটি বলেছেন ইমাম নাবাবী (রহঃ)। (وَفِي) তথা স্ত্রী সহবাসের মধ্যে বলা হয়েছে, এ কথা বলা হয়নি যে, সরাসরি স্ত্রী সহবাস করার মাধ্যমে। এ কথা বুঝা যায় যে, স্ত্রী সহবাস করা সদাক্বাহ্ (সাদাকা) নয় বরং স্ত্রী সহবাসের মাধমে নিজেকে পরনারী থেকে সংবরণ করার প্রেক্ষিতে সদাক্বার সাওয়াব হবে। বস্ত্তত স্ত্রীর হক আদায় করা, সৎ সন্তান কামনা করা এগুলো সদাক্বাহ্ (সাদাকা) হিসেবে পরিগণিত।

(إِذَا وَضَعَهَا فِي الْحَلَالِ) অর্থাৎ হারাম থেকে বিরত থেকেছে অথচ মানুষের অন্তর হারামের দিকেই ঝুকে যায় এবং হারাম কাজ করেই হালালের চেয়ে বেশী স্বাদ পেয়ে থাকে। কেননা প্রতিটি নতুন জিনিসের রয়েছে নতুন স্বাদ, অভ্যাসগত কারণে আত্মা সেদিকে বেশী ধাবিত, শায়ত্বন (শয়তান) তার জন্য সহযোগিতায় সর্বাধিক অগ্রগামী এবং পরিশ্রমটাও অনেক কম হয়।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৬: যাকাত (كتاب الزكاة)