১৮৯৫

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - সদাক্বার মর্যাদা

১৮৯৫-[৮] আবূ মূসা আল আশ্’আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (আল্লাহর নি’আমাতের শুকরিয়া হিসেবে) প্রত্যেক মুসলিমেরই সদাক্বাহ্ (সাদাকা) দেয়া উচিত। সাহাবীগণ আরয করলেন, যদি কারো কাছে সদাক্বাহ্ (সাদাকা) করার মতো কিছু না থাকে? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ উচিত হবে কাজ করে নিজ হাতে উপার্জন করা। তাহলে নিজেও উপকৃত হতে পারবে, আবার দান সদাক্বাও করতে পারবে। সাহাবীগণ বললেন, যদি সে ব্যক্তি সামর্থ্যবান না হয়; অথবা বলেছেন, নিজ হাতে কাজকর্ম করতে না পারে? তিনি বললেন, সে যেন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত পরমুখাপেক্ষী লোকে সাহায্য করে। সাহাবীগণ আরয করলেন, যদি এটিও সে না করতে পারে? তিনি বললেন, তাহলে সে যেন ভাল কাজের নির্দেশ দেয়। সাহাবীগণ পুনঃ জানতে চাইলেন, যদি এটিও সে না পারে? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাহলে সে মন্দ কাজ হতে ফিরে থাকবে। এটাই তার জন্য সদাক্বাহ্ (সাদাকা)। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ فَضْلِ الصَّدَقَةِ

وَعَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ صَدَقَةٌ» . قَالُوا: فَإِنْ لَمْ يَجِدْ؟ قَالَ: «فَلْيَعْمَلْ بِيَدَيْهِ فَيَنْفَعَ نَفْسَهُ وَيَتَصَدَّقَ» . قَالُوا: فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ؟ أَوْ لَمْ يَفْعَلْ؟ قَالَ: «فيعين ذَا الْحَاجَةِ الْمَلْهُوفَ» . قَالُوا: فَإِنْ لَمْ يَفْعَلْهُ؟ قَالَ: «فيأمر بِالْخَيرِ» . قَالُوا: فَإِن لمي فعل؟ قَالَ: «فَيمسك عَن الشَّرّ فَإِنَّهُ لَهُ صَدَقَة»

وعن ابي موسى الاشعري قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «على كل مسلم صدقة» . قالوا: فان لم يجد؟ قال: «فليعمل بيديه فينفع نفسه ويتصدق» . قالوا: فان لم يستطع؟ او لم يفعل؟ قال: «فيعين ذا الحاجة الملهوف» . قالوا: فان لم يفعله؟ قال: «فيامر بالخير» . قالوا: فان لمي فعل؟ قال: «فيمسك عن الشر فانه له صدقة»

ব্যাখ্যা: (عَلى كُلِّ مُسْلِمٍ صَدَقَةٌ) প্রতিটি মুসলিমের ওপর সদাক্বাহ্ (সাদাকা) রয়েছে। এখানে সকল ‘উলামাদের ঐকমত্যে ওয়াজিব সদাক্বাহ্ (সাদাকা) তথা যাকাতের কথা বলা হয়নি। বরং মুসলিমের উত্তম চরিত্রের সহায়ক হিসেবে সাধারণ দান-খয়রাতের কথা বলা হয়েছে। আল্লামা কুসতুলানী (রহঃ) এমনটাই মনে করেন। ইমাম নাবাবী (রহঃ) একই মত পোষণ করেন। তবে ইমাম হাফিয ইবনু হাজার আসক্বালানী একটু বেশী করে বলেন, যে, হাদীসটি ওয়াজিব এবং মুস্তাহাব দু’টি ক্ষেত্রেই ব্যবহারের উপযুক্ত।

(قَالُوا: فَإِنْ لَمْ يَجِدْ؟) অর্থাৎ সদাক্বাহ্ (সাদাকা) দেয়ার মতো কোন সম্পদ যদি ব্যক্তির কাছে না থাকে? এ প্রশ্নের উত্তরে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যদি কোন সম্পদই না থাকে তাহলে মাযলূমকে সহায়তা করা, সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা ইত্যাদি সদাক্বাহ্ (সাদাকা) হিসেবে গণ্য হবে।

(فيأمر بِالْخَيرِ) সৎ কাজের আদেশ অসৎ কাজের নিষেধ এ কথার অন্তর্ভুক্ত হবে। হাদীসখানার সার সংক্ষেপ হলো, নিশ্চয় সৃষ্টিজীবের প্রতি দয়াপ্রবণ হওয়া ইসলামের এক গুরুত্বপূর্ণ সৎ কাজ হিসেবে চিহ্নিত। তা হতে পারে অর্জিত সম্পদ সৃষ্টিজীবের খিদমাতে ব্যবহারের মাধ্যমে, এটা হলো প্রথম পর্যায়ের দয়ার অন্তর্ভুক্ত।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৬: যাকাত (كتاب الزكاة)