পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - দানের মর্যাদা ও কৃপণতার পরিণাম
১৮৮২-[২৪] আবূ যার গিফারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। (একবার) তিনি ’উসমানের কাছে আসার অনুমতি চাইলেন। তিনি তাঁকে অনুমতি দিলেন। তাঁর হাতে ছিল একটি লাঠি। ’উসমান (রাঃ) (ওখানে উপস্থিত) কা’বকে বললেন, কা’ব! ’আবদুর রহমান ইবনু ’আওফ (রাঃ) অনেক ধন-সম্পদ রেখে ইন্তিকাল করেছেন। এ ব্যাপারে তোমার কী অভিমত? কা’ব (রাঃ) বললেন, তিনি যদি এসবে আল্লাহর হক (যাকাত) আদায় করে থাকেন, তাহলে কোন অসুবিধা নেই। (এ কথা শুনেই) আবূ যার (রাঃ) হাতের লাঠি কা’ব-এর দিকে উঠিয়ে মারলেন এবং বললেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, (উহুদের) পাহাড় পরিমাণ সোনাও যদি আমার থাকে, আর আমি তা আল্লাহর পথে খরচ করি এবং তা কবূলও হয়, তারপরও আমি পছন্দ করব না আমার পরে ছয় উক্বিয়্যাহ্ (অর্থাৎ দু’শত চল্লিশ দিরহাম) আমার ঘরে সঞ্চিত থাকুক। এবার আবূ যার (রাঃ) (’উসমান (রাঃ কে উদ্দেশ করে বললেন,) আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি, হে ’উসমান! আপনি কী রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ কথা শুনেননি? এ কথা তিনি তিনবার বললেন। ’উসমান (রাঃ) বললেন, হ্যাঁ শুনেছি। (আহমাদ)[1]
وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ أَنَّهُ اسْتَأْذَنَ عَلَى عُثْمَانَ فَأَذِنَ لَهُ وَبِيَدِهِ عَصَاهُ فَقَالَ عُثْمَانُ: يَا كَعْبُ إِنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ تُوُفِّيَ وَتَرَكَ مَالًا فَمَا تَرَى فِيهِ؟ فَقَالَ: إِنْ كَانَ يَصِلُ فِيهِ حَقَّ اللَّهِ فَلَا بَأْسَ عَلَيْهِ. فَرَفَعَ أَبُو ذَرٍّ عَصَاهُ فَضَرَبَ كَعْبًا وَقَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَا أُحِبُّ لَوْ أَنَّ لِي هَذَا الْجَبَلَ ذَهَبًا أُنْفِقُهُ وَيُتَقَبَّلُ مِنِّي أَذَرُ خَلْفِي مِنْهُ سِتَّ أَوَاقِيَّ» . أَنْشُدُكَ بِاللَّهِ يَا عُثْمَانُ أَسَمِعْتَهُ؟ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ. قَالَ: نعم. رَوَاهُ أَحْمد
ব্যাখ্যা: আবূ যার (রাঃ) সাহাবীদের মধ্যে দরিদ্র এবং দুনিয়া বিমুখ ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর মতাদর্শ ছিল যে, সম্পদ জমা করে নিজের কাছে রেখে না দিয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সবই আল্লাহর রাস্তায় খরচ করে দিতে হবে। এজন্যই তিনি কা‘ব (রাঃ)-কে প্রহার করেন। অথচ যে সম্পদের যাকাত প্রদান করা হয় তা كنز (কান্য)-এর (জমা করে রাখার) অন্তর্ভুক্ত নয় এবং এর জন্য কোন ভীতিও প্রদর্শন করা হয়নি।