পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - দানের মর্যাদা ও কৃপণতার পরিণাম
১৮৬৭-[৯] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি আরয করল, হে আল্লাহর রসূল! কোন দান মর্যাদার দিক দিয়ে সবচেয়ে বড়। তিনি বললেন, তুমি যখন সুস্থ-সবল থাকো এবং সম্পদের প্রতি আগ্রহ পোষণ করো, দারিদ্রের ভয় কর, ধন-সম্পদের মালিক হতে চাও, তখনকার দান সবচেয়ে বড়। তাই প্রাণ ওষ্ঠাগত হবার সময় পর্যন্ত দান করার অপেক্ষা করবে না। কারণ তখন তুমি বলতে থাকবে, এ মাল অমুকের, এ মাল অমুকের এবং এ মাল অমুকের। অথচ ততক্ষণে মালের মালিক অমুক হয়েই গেছে। (বুখারী, মুসলিম)[1]
بَابُ الْإِنْفَاقِ وَكَرَاهِيَةِ الْإِمْسَاكِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُّ الصَّدَقَةِ أَعْظَمُ أَجْرًا؟ قَالَ: أَنْ تَصَدَّقَ وَأَنْتَ صَحِيحٌ شَحِيحٌ تَخْشَى الْفَقْرَ وَتَأْمُلُ الْغِنَى وَلَا تُمْهِلَ حَتَّى إِذَا بَلَغَتِ الْحُلْقُومَ قُلْتَ: لِفُلَانٍ كَذَا وَلِفُلَانٍ كَذَا وَقَدْ كَانَ لِفُلَانٍ
ব্যাখ্যা: হাদীসের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা হচ্ছে, একজন মানুষ যখন সুস্থ এবং স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে, মাল সম্পদের প্রতি প্রবল লোভ-লালসা থাকে তখনকার দান হচ্ছে বেশি ফাযীলাতপূর্ণ। কারণ হচ্ছে, মানুষের ধনের সম্পর্ক থাকে তার মনের মুকুটের সঙ্গে; তাই ঐ সময় ধনকে দানের উদ্দেশে তার ধন-ভান্ডার থেকে বের করাতে হলে মনের সঙ্গে সংগ্রাম করতে হয়। আল্লামা খাত্ত্বাবী বলেন, হাদীসের অর্থ হচ্ছে যে, মানুষ যখন সুস্থ থাকে তার লোভও তখন বেশি থাকে। ঐ সময় সে যদি তার লোভকে সংবরণ করে দান করে তাহলে তার নিয়্যাত সঠিক বলে গণ্য হবে এবং তার ঐ দানে নেকীও বেশি হবে। পক্ষান্তরে সে যখন তার মৃত্যুর আভাস বুঝতে পাবে, বাঁচার আশা ছেড়ে দেবে এবং সম্পদ হাত ছাড়া হয়ে যাবে তখন তার দানে সে পূর্ণ নেকী লাভ করতে পারবে না। হাফিয ইবনু হাজার (রহঃ) বলেন, হাদীসের নির্দেশ হলো তুমি তোমার জীবদ্দশায় এবং সুস্থ অবস্থায় দান করবে। আর এই দান তোমার মৃত্যুর পর অথবা অসুস্থ অবস্থায় দান করার চেয়ে উত্তম বলে গণ্য হবে।