১৮১০

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব জিনিসের যাকাত দিতে হয়

১৮১০-[১৭] উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সোনার আওযাহ (এক রকম অলংকারের নাম) পরতাম। আমি একদিন বললাম, হে আল্লাহর রসূল! এ সোনার অলংকারও কি সঞ্চিত মাল গণ্য হবে (যে ব্যাপারে কুরআনে ভয় দেখানো হয়েছে)? তিনি বললেন, যে জিনিসে নিসাব পূর্ণ হয় এবং এর যাকাত দিয়ে দেয়া হয়, তা পবিত্র হয়ে যায়। তখন তা সঞ্চিত ধন-সম্পদের মধ্যে গণ্য নয়। (মালিক, আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ: كُنْتُ أَلْبَسُ أَوْضَاحًا مِنْ ذَهَبٍ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَكَنْزٌ هُوَ؟ فَقَالَ: «مَا بلغ أَن يُؤدى زَكَاتُهُ فَزُكِّيَ فَلَيْسَ بِكَنْزٍ» . رَوَاهُ مَالِكٌ وَأَبُو دَاوُد

وعن ام سلمة قالت: كنت البس اوضاحا من ذهب فقلت: يا رسول الله اكنز هو؟ فقال: «ما بلغ ان يودى زكاته فزكي فليس بكنز» . رواه مالك وابو داود

ব্যাখ্যা: রূপার তৈরি একপ্রকার অলংকারকে আওযাহ বলা হয়। উক্ত হাদীস হতে বুঝা যায় যে, অলংকারে যাকাত আছে। তবে শর্ত হলো উক্ত অলংকার নিসাব সমপরিমাণ হওয়া। আর নিসাব হলো দু’শত দিরহাম। সুতরাং উক্ত মালে যাকাত দিলে কান্য-এর (শাস্তির) আওতায় যাবে না।

জ্ঞাতব্যঃ যে অলংকারে যাকাত ওয়াজিব হয় তার নিসাবের ক্ষেত্রে ওযন ধর্তব্য। অতএব যদি কেউ কিছু অলংকারের মালিক হয় যার মূল্য দুইশত দিরহাম কিন্তু পরিমাণ দুইশত দিরহামের কম তাহলে তার ওপর যাকাত আবশ্যক নয়। যদি তার ওযন দুইশত দিরহাম হয় তাহলে তাতে যাকাত আবশ্যক হবে যদিও তা মূল্যের ক্ষেত্রে দুইশত দিরহামের কম হয়। যেহেতু রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘পাঁচ উক্বিয়্যার কম রূপাতে যাকাত নেই।’’ তবে যদি অলংকারাদি ব্যবসার জন্য হয় তাহলে তার নিসাবের ক্ষেত্রে মূল্য ধর্তব্য। অর্থাৎ যখন স্বর্ণ, রৌপ্যের দ্বারা তার মূল্য দুইশত দিরহামের সমপরিমাণ হবে তখন তাতে যাকাত ওয়াজিব হবে। কারণ এর যাকাতটি মূল্যের সাথে সংশ্লিষ্ট। আর যে অলংকারাদি ব্যবসার উদ্দেশে ব্যবহার হয় না তার যাকাতটি স্বয়ং সে দ্রব্যের ক্ষেত্রে। ফলে তার মূল্যের ক্ষেত্রটি বিবেচিত হলেও তার ওযনটিই মূলত এ ক্ষেত্রে তার নিসাব।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৬: যাকাত (كتاب الزكاة)