১৭৮১

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

১৭৮১-[১০] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন এ আয়াত, وَالَّذِيْنَ يَكْنِزُوْنَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ অর্থাৎ ’’যেসব লোক সোনা-রূপা জমা করে রাখে’’- (সূরাহ্ আত্ তওবা্ ৯: ৩৪) আয়াতের শেষ পর্যন্ত নাযিল হল তখন সাহাবীগণ চিন্তিত হয়ে পড়ল। ’উমার (রাঃ) বলেন, আমি তোমাদের এ দুশ্চিন্তা নিরসন করে দিচ্ছি। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গেলেন। তাঁকে বললেন, হে আল্লাহর নবী! এ আয়াত তো আপনার সাথীদের জন্য ভারি বোঝা হয়েছে। (এ কথা শুনে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা (সকল ব্যয় নির্বাহের পর) অবশিষ্ট মাল পবিত্র করার ব্যবস্থা স্বরূপ তোমাদের ওপর যাকাত ফরয করেছেন। আল্লাহ তা’আলা এজন্যই ওয়ারিস ঠিক করে দিয়েছেন। এরপর তিনি এ বাক্য উল্লেখ করলেন, যেন তোমাদের পরবর্তীরা যাতে এ মালের মালিক হয়ে যায়। ’আব্বাস (রাঃ)বলেন, এ কথা শুনে ’উমার (রাঃ) ’আল্ল-হু আকবার’ বলে উঠলেন। তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ’উমার (রাঃ) কে বললেন, আমি কি তোমাকে মানুষের সবচেয়ে উত্তম গচ্ছিত বস্তু সম্পর্কে অবহিত করব না? তা হলো চরিত্রবান স্ত্রী। স্বামী যখন তার প্রতি দৃষ্টিপাত করবে খুশী হয়ে যাবে, তাকে কোন হুকুম করলে পালন করবে, সে ঘরে না থাকলে তার ধন-সম্পদের সুরক্ষা করবে। (আবূ দাঊদ)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِى

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: لَمَّا نَزَلَتْ (وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ)
كَبُرَ ذَلِكَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ. فَقَالَ عُمَرُ أَنَا أُفَرِّجُ عَنْكُمْ فَانْطَلَقَ. فَقَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ قد كبر على أَصْحَابك هَذِه الْآيَة. فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ لم يفْرض الزَّكَاة إِلَّا ليطيب بهَا مَا بَقِيَ مِنْ أَمْوَالِكُمْ وَإِنَّمَا فَرَضَ الْمَوَارِيثَ وَذكر كلمة لتَكون لمن بعدكم» قَالَ فَكَبَّرَ عُمَرُ. ثُمَّ قَالَ لَهُ: «أَلَا أُخْبِرُكَ بِخَيْرِ مَا يَكْنِزُ الْمَرْءُ الْمَرْأَةُ الصَّالِحَةُ إِذَا نَظَرَ إِلَيْهَا سَرَّتْهُ وَإِذَا أَمَرَهَا أَطَاعَتْهُ وَإِذَا غَابَ عَنْهَا حفظته» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

عن ابن عباس رضي الله عنهما قال: لما نزلت (والذين يكنزون الذهب والفضة) كبر ذلك على المسلمين. فقال عمر انا افرج عنكم فانطلق. فقال: يا نبي الله قد كبر على اصحابك هذه الاية. فقال نبي الله صلى الله عليه وسلم: «ان الله لم يفرض الزكاة الا ليطيب بها ما بقي من اموالكم وانما فرض المواريث وذكر كلمة لتكون لمن بعدكم» قال فكبر عمر. ثم قال له: «الا اخبرك بخير ما يكنز المرء المراة الصالحة اذا نظر اليها سرته واذا امرها اطاعته واذا غاب عنها حفظته» . رواه ابو داود

ব্যাখ্যা: ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ যখন সূরাহ্ আত্ তাওবাহ্-র যাকাত সম্পর্কে ৩৪ নং আয়াত অবতীর্ণ হয় তখন ‘উমার (রাঃ) বলেনঃ হে আল্লাহর নাবী! এ আয়াতটি মুসলিমদের ওপর খুবই বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহ তা‘আলা যাকাতের সম্পদ পবিত্র করার জন্য ফরয করেছেন। আর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ উত্তম ধনভান্ডার হলো সতীনারী যে স্বামীর আনুগত্য করে।

ক্বাযী ‘আয়ায বলেন, যখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের বললেন, যে মালের যাকাত আদায় করলে তা জমা করা/গচ্ছিত রাখায় কোন সমস্যা নেই এবং দেখলেন যে, তারা এতে খুশি হয়েছেন তখন তার থেকে বিরত রাখার এর চেয়ে অধিক উত্তম এবং স্থায়ী বিষয়ের সংবাদ দিলেন। আর তা হল একজন সত্বী সুন্দরী রমণী। কারণ স্বর্ণ/অর্থ সম্পদ মানুষের সাথে কিছু সময়ের জন্য থাকে কিন্তু একজন রমণী তার দুনিয়ার জীবনের সাথী যার দিকে দৃষ্টিপাত করলে সে তোমাকে আনন্দিত করে, প্রয়োজনের সময় তুমি তার মাধ্যমে তোমার যৌনবৃত্তি পূর্ণ কর, কোন গোপন বিষয়ে তার সাথে পরামর্শ করলে সে তোমার গোপনীয়তা সংরক্ষণ করে, প্রয়োজনীয় মুহূর্তে তার সাহায্য চাইলে সে তোমার আনুগত্য করে। যখন তুমি তার থেকে অনুপস্থিত থাকো তখন সে তোমার সম্পদ সংরক্ষণ করে পরিবারের যত্ন নেয়। আর এত কিছু না হলেও সে তোমার একটি সন্তান জন্ম দেয় যে জীবতাবস্থায় তোমার সহকারী এবং মৃত্যুর পরে তোমার খলীফা হবে। অতএব, তার অনেক ফযীলত রয়েছে।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৬: যাকাত (كتاب الزكاة)