পরিচ্ছেদঃ ৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির জন্য কাঁদা
১৭৪৫-[২৪] নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার ’আবদুল্লাহ ইবনু রওয়াহাহ্, (কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে) জ্ঞান হারালেন। তাঁর বোন ’আমরাহ্ কেঁদে কেটে বলতে লাগল, হে পর্বতসম ভাই! হে আমার এমন ভাই! তেমন ভাই! অর্থাৎ এভাবে তাঁর ভাইয়ের খ্যাতির বর্ণনা করতে লাগল। ’আবদুল্লাহ ইবনু রওয়াহার জ্ঞান ফিরলে বোনকে বললেন, তুমি আমাকে নিয়ে যখন যা বলেছ, আমাকে তখনই জিজ্ঞেস করা হয়েছে, এসব গুণে গুণী আমি কিনা? অন্য এক বর্ণনায় অতিরিক্ত বর্ণনা এসেছে, যখন ’আবদুল্লাহ (মূতার যুদ্ধে) তখন তার বোন ’আমরাহ্ আর তাঁর জন্য কাঁদেননি। (বুখারী)[1]
وَعَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ قَالَ: أُغْمِيَ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَوَاحَةَ فَجَعَلَتْ أُخْتُهُ عَمْرَةُ تبْكي: واجبلاه واكذا واكذا تُعَدِّدُ عَلَيْهِ فَقَالَ حِينَ أَفَاقَ: مَا قُلْتِ شَيْئًا إِلَّا قِيلَ لِي: أَنْتَ كَذَلِكَ؟ زَادَ فِي رِوَايَةٍ فَلَمَّا مَاتَ لَمْ تَبْكِ عَلَيْهِ. رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যা: এ হাদীস মৃত ব্যক্তির জন্য ক্রন্দন করতে নিরুৎসাহিত করেছে। এ হাদীস থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে তার জন্য ক্রন্দন করা যাবে। তবে কেউ যদি মৃত্যুবরণ করে, তবে তার জন্য বিলাপ সহকারে উচ্চৈঃস্বরে ক্রন্দন করা যাবে না। আব্দুল্লাহ ইবনু রওয়াহাহ্ (রাঃ) একবার অসুস্থতার কারণে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। তখন তার বোন অত্যধিক ক্রন্দন করেন এবং বিলাপ করতে থাকেন। ‘আবদুল্লাহ ইবনু রওয়াহাহ্ (রাঃ) এ রোগে মারা যায়নি বরং তিনি ৮ম হিজরীতে মূতার যুদ্ধে শাহীদ হন।