১৭৪১

পরিচ্ছেদঃ ৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির জন্য কাঁদা

১৭৪১-[২০] ’আমরাহ্ বিনতু ’আবদুর রহমান (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উম্মুল মু’মিনীন ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি। তাকে বলা হল যে, ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) বলেছেন, জীবিতদের কান্নাকাটির কারণে মৃত ব্যক্তিকে শাস্তি দেয়া হয়। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেছেন, আল্লাহ আবূ ’আবদুর রহমানকে (ইবনু ’উমারের উপনাম নাম) মাফ করুন। তিনি মিথ্যা কথা বলেননি। কিন্তু তিনি ভুলে গেছেন অথবা ইজতিহাদী ভুল করেছেন। (ব্যাপার হলো) একবার রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন ইয়াহূদী মহিলার কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, দেখলেন তার কবরের পাশে লোকজন কাঁদছে। এ দৃশ্য দেখে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এর আত্মীয়-স্বজনরা তার জন্য কাঁদছে, আর এ মহিলাকে তার কবরে ’আযাব দেয়া হচ্ছে। (বুখারী, মুসলিম)[1]

وَعَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهَا قَالَتْ: سَمِعْتُ عَائِشَةَ وَذُكِرَ لَهَا أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ يَقُولُ: إِنَّ الْمَيِّتَ لَيُعَذَّبُ بِبُكَاءِ الْحَيِّ عَلَيْهِ تَقُولُ: يَغْفِرُ اللَّهُ لِأَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَمَا إِنَّهُ لَمْ يَكْذِبْ وَلَكِنَّهُ نَسِيَ أَوْ أَخْطَأَ إِنَّمَا مَرَّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى يَهُودِيَّةٍ يُبْكَى عَلَيْهَا فَقَالَ: «إِنَّهُمْ لَيَبْكُونَ عَلَيْهَا وَإِنَّهَا لتعذب فِي قبرها»

وعن عمرة بنت عبد الرحمن انها قالت: سمعت عاىشة وذكر لها ان عبد الله بن عمر يقول: ان الميت ليعذب ببكاء الحي عليه تقول: يغفر الله لابي عبد الرحمن اما انه لم يكذب ولكنه نسي او اخطا انما مر رسول الله صلى الله عليه وسلم على يهودية يبكى عليها فقال: «انهم ليبكون عليها وانها لتعذب في قبرها»

ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসে মৃত ব্যক্তির জন্য ক্রন্দন না করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। আলোচ্য হাদীস থেকে এ কথা বুঝা যাচ্ছে যে, মৃত ব্যক্তির যে কেউ কাঁদলে মৃত ব্যক্তিকে শাস্তি দেয়া হয়। চাই সে মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্য হোক বা না হোক। সুতরাং হাদীস থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, এখানে কান্নার বিষয়টি শুধু পরিবারের জন্য নির্দিষ্ট রাখা হয়নি। অপর বর্ণনায় আছে যে, তার শাস্তি হয় তার পরিবারের লোকদের কান্নার কারণে। কেননা, সাধারণত মৃত ব্যক্তির জন্য তার পরিবারের লোকেরাই ক্রন্দন করে।

ইমাম শাওকানী (রহঃ) বলেন, ইমাম নাবাবী (রহঃ) ‘উলামায়ে কিরামের মতামত উল্লেখ করে বলেন, এখানে মৃত ব্যক্তিকে যে কান্নার কারণে শাস্তি দেয়া হয় তা হল, বিলাপসহ উচ্চৈঃস্বরে কান্না। কেউ যদি শুধু চোখের পানি ছেড়ে বিনা আওয়াজে কাঁদে তাহলে মৃত ব্যক্তিকে শাস্তি দেয়া হয় না।

এ হাদীসের শেষ অংশে বলা হচ্ছে যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ইয়াহূদী মহিলার ক্ববরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন এবং দেখলেন যে, তার জন্য কান্না করা হচ্ছে, তখন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে ক্ববরে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। এখানে মূলত তাকে তার কুফরীর জন্য শাস্তি দেয়া হচ্ছে। জীবিতদের কান্নার কারণে নয়। কেননা সে এমনিতেই শাস্তি পাওয়ার যোগ্য।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৫: জানাযা (كتاب الجنائز)