পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির জন্য কাঁদা
১৭৩৭-[১৬] ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন বিপদাপন্নকে সান্ত্বনা দেবে, তাকেও বিপদগ্রস্তের সমান সাওয়াব দেয়া হবে। (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ; ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি গরীব। আমি এ হাদীসটিকে ’আলী ইবনু ’আসিম ছাড়া আর কোন ব্যক্তি হতে মারফূ’ হিসেবে পাইনি। ইমাম তিরমিযী এ কথাও বলেন যে, কোন কোন মুহাদ্দিস এ বর্ণনাটিকে মুহাম্মাদ ইবনু সূকা হতে এ সানাদে ’মাওকূফ’ হিসেবে উদ্ধৃত করেছেন।)[1]
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «من عَزَّى مُصَابًا فَلَهُ مِثْلُ أَجْرِهِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لَا نَعْرِفُهُ مَرْفُوعًا إِلَّا مِنْ حَدِيثِ عَلِيِّ بْنِ عَاصِمٍ الرَّاوِي وَقَالَ: وَرَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنْ مُحَمَّد بن سوقة بِهَذَا الْإِسْنَاد مَوْقُوفا
ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসে এমন ব্যক্তির ফাযীলাতের কথা বলা হয়েছে যে, বিপদগ্রস্ত মানুষকে সান্ত্বনা দেয়। বলা হচ্ছে যে, যখন কোন বিপদগ্রস্ত মু’মিন ব্যক্তিকে অপর কোন মু’মিন ব্যক্তি সান্ত্বনা দেয় তাহলে সে ততটুকু সাওয়াব পাবে যতটুকু সাওয়াব বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে সান্ত্বনা দেয়ার পাশাপাশি দু‘আ করতে হবে, যাতে সে তাড়াতাড়ি বিপদমুক্ত হয়ে যায়। তাকে বুঝাতে হবে যে, তোমার এ বিপদের মাধ্যমে আল্লাহ তোমাকে বড় প্রতিদান দেবেন। তোমার উচিত ধৈর্যধারণ করা। আর এখন তোমার খাদ্য হল শুকর অর্থাৎ তুমি এখন আল্লাহর শুকরের মাধ্যমে তৃপ্তি লাভ কর। তাহলে সান্ত্বনা দানকারী তার মতো সাওয়াব পাবে। কেননা ভাল কাজের নির্দেশ দাতা ভাল কাজ আদায়কারীর সমান সাওয়াব পাই। যা হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। তবে এ বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিকে ধৈর্যধারণ করতে হবে।
কেউ বলেন, বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি ধৈর্য ও শুকরের মাধ্যমে যে সাওয়াব বা প্রতিদান পাবে তাকে সান্তনা দানকারী ব্যক্তিও অনুরূপ প্রতিদান পাবে।