১৭০৯

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির দাফনের বর্ণনা

১৭০৯-[১৭] জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবরে সিমেন্ট চুন দিয়ে কোন কাজ করতে, তার উপর কিছু লিখতে অথবা খোদাই করে কিছু করতে নিষেধ করেছেন। (তিরমিযী)[1]

وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَن تجصص الْقُبُور وَأَن يكْتب لعيها وَأَن تُوطأ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

وعن جابر قال: نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم ان تجصص القبور وان يكتب لعيها وان توطا. رواه الترمذي

ব্যাখ্যা: কবর প্লাস্টার করা নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে আগেই আলোচনা করা হয়েছে। তারপর এ হাদীসে আরো একটি বিষয়ের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। আর তা হল, ক্ববরের উপর কোন কিছু লেখা। সেটা মৃত ব্যক্তির নাম হোক অথবা মৃত্যুর তারিখ হোক অথবা কুরআনের আয়াত এবং অন্য কিছু যাই হোক না কেন। ইমাম হাকিম তার মুস্তাদরাক কিতাবে বলেন, এ হাদীসটির সানাদ সহীহ। কিন্তু এ হাদীসের উপরে ‘আমল নেই। কেননা পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত সর্বত্রই ক্ববরের উপর লেখালেখির কাজ চালু রয়েছে। এমনকি এটা অনেক পূর্ব যুগ থেকে চলে আসছে। ইমাম যাহাবী বলেন, কোন সাহাবী থেকে এ মর্মে জানা যায়নি যে, তারা ক্ববরে কোন কিছু লিখেছেন। তবে এটা হয়ত এমন কোন তাবি‘ঈ থেকে শুরু হয়েছে, যাদের কাছে এই নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত হাদীস পৌঁছায়নি।

ইবনু হাজার বলেন, ক্ববরের উপর যা কিছুই লেখা হোক না কেন তা মাকরূহ।

আল্লামা শাওকানী বলেন, ক্ববরের উপর কোন কিছু লিখা যে হারাম এ হাদীসটি হচ্ছে তার দলীল। এ ব্যাপারে মৃতের নাম অথবা অন্য কিছু লিখার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। কি উদ্দেশে লেখা হচ্ছে সেটাও ধর্তব্য নয়।

তবে কারো কবরকে চিহ্নিত রাখার প্রয়োজনবোধ করলে তাতে পাথর বা অন্য কোন শক্ত জিনিস দ্বারা চিহ্ন রাখা যায়। যেমন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘উসমান (রাঃ)-এর কবরকে চিহ্নিত করার জন্য একটি পাথর রেখেছিলেন। এ হাদীসে আরো একটি নিষেধাজ্ঞা এসেছে তা হল, ক্ববরের উপর হাঁটাচলা করা। জুতা পায়ে হোক আর খালি পায়ে হোক উভয়টিই নিষিদ্ধ। তবে বিশেষ প্রয়োজন দেখা দিলে যেমন লাশ দাফন করার কাজে বা এ রকম প্রয়োজনে ক্ববরের উপর দিয়ে গেলে মাকরূহ হবে না।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৫: জানাযা (كتاب الجنائز)