১৬৯১

পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা

১৬৯১-[৪৬] জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (অপূর্ণাঙ্গ) বাচ্চাদের জন্য না জানাযার সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতে হবে, না তাকে কারো ওয়ারিস বানানো যাবে। আর না তার কোন ওয়ারিস হবে। যদি সে জন্মের সময় কোন শব্দ করে না থাকে। (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ; কিন্তু ইবনু মাজাহوَلَا يُوْرَثُ [অর্থাৎ তারও কেউ উত্তারাধিকারী হবে না] শব্দ উল্লেখ করেননি।)[1]

وَعَنْ جَابِرٌ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الطِّفْلُ لَا يُصَلَّى عَلَيْهِ وَلَا يَرِثُ وَلَا يُوَرَّثُ حَتَّى يَسْتَهِلَّ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ إِلَّا أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ: «وَلَا يُورث»

وعن جابر ان النبي صلى الله عليه وسلم قال: «الطفل لا يصلى عليه ولا يرث ولا يورث حتى يستهل» . رواه الترمذي وابن ماجه الا انه لم يذكر: «ولا يورث»

ব্যাখ্যা: শিশু যদি ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর চিৎকার বা কান্না না করে তাহলে তার জানাযাহ্ আদায় করতে হবে না এবং সে কোন সম্পদের ওয়ারিসও হবে না এবং ওয়ারিস বানাবেও না। পূর্বে ১৬৬৭ নং হাদীসের ব্যাখ্যায় এ ব্যাপারে কিঞ্চিৎ আলোচনা হয়েছে। কান্না, নড়াচড়া ইত্যাদি তার জীবনের প্রমাণ ও নিদর্শন। এ প্রমাণ না মিললে তার জানাযাহ্ আদায় করতে হবে না। ইতিপূর্বে ১৬৫৩ নং হাদীসের ব্যাখ্যায় দেখা গেছে পড়তে হবে। সুতরাং এখানেও ইমামদের সংক্ষিপ্ত মতামত তুলে ধরা হলোঃ

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ), ইবনু সীরীন, ইবনুল মুসাইয়্যিব প্রমুখ সাহাবী ও তাবি‘ঈ বলেন, চিৎকার না দিলেও জানাযাহ্ আদায় করতে হবে। ইমাম আহমাদ ইসহাক্ব প্রমুখ ইমামগণ চার মাস দশদিন বয়সের শিশুদের জানাযাহ্ পড়ানোর পক্ষপাতি, কারণ এ সময়ে শিশুর মধ্যে প্রাণ সঞ্চার ঘটে।

আর যদি নড়া-চড়া ও চিৎকার করে অর্থাৎ প্রাণের নিদর্শন মেলে তবে সে ওয়ারিস হবে।

পক্ষান্তরে ইমাম মালিক, শাফি‘ঈ, আওযা‘ঈ প্রমুখ ইমামগণ শিশু চিৎকার না করলে তার জানাযায় পক্ষপাতি নন এবং মিরাসের অধিকারী স্বীকার করেন না।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৫: জানাযা (كتاب الجنائز)