১৬৮৯

পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা

১৬৮৯-[৪৪] সা’ঈদ ইবনু মুসাইয়্যাব (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)-এর পেছনে এমন একটি বালকের জানাযার সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করলাম, যে কক্ষনো কোন গুনাহের কাজ করেনি। আমি আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)-কে তার জন্য দু’আ করতে শুনলাম, ’’আল্ল-হুম্মা আ’ইযহু মিন ’আযা-বিল কবরি’’ (অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি এ ছেলেটিকে কবর ’আযাব থেকে রক্ষা করো)। (মালিক)[1]

وَعَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ قَالَ: صَلَّيْتُ وَرَاءَ أَبِي هُرَيْرَةَ عَلَى صَبِيٍّ لَمْ يَعْمَلْ خَطِيئَةً قَطُّ فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: اللَّهُمَّ أَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْر. رَوَاهُ مَالك

وعن سعيد بن المسيب قال: صليت وراء ابي هريرة على صبي لم يعمل خطيىة قط فسمعته يقول: اللهم اعذه من عذاب القبر. رواه مالك

ব্যাখ্যা: শিশুর জানাযাহ্ আদায় করাও ওয়াজিব। তার জন্যও দু‘আ করতে হবে। ক্ববরে শিশুকে প্রশ্ন করা হবে কিনা? এ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। কেউ বলেছেন প্রশ্ন করা হবে, কেউ বলেছেন হবে না। একদল এ ব্যাপারে নিরবতা অবলম্বন করেছেন। এ ব্যাপারে কোন নস বা প্রামাণ্য দলীল নেই।

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) শিশুর জন্য ক্ববরের ‘আযাব থেকে আশ্রয় চেয়েছেন। তিনি সম্ভবতঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ক্ববরের ‘আযাবের হাদীস শুনেই এ দু‘আ করেছিলেন, আর হাদীসটি ছোট বড় সকলের ব্যাপারে ‘আমল ছিল। কেউ বলেছেন, এখানে ‘আযাব দ্বারা শাস্তি উদ্দেশ্য নয় বরং চিন্তা, বিভীষিকা ও ভয়ানক অবস্থা উদ্দেশ্য। অথবা সচরাচর বড়দের জানাযায় বলার অভ্যাসগত কারণেই শিশুর জন্যও সে দু‘আই পাঠ করেছেন। অথবা তিনি ভেবেছিলেন, এটা হয়তো বড় মানুষ হবে।

হানাফীদের মতে শিশুর জন্য মাগফিরাতের দু‘আ করা বৈধ নয়। তাই বড়দের জন্য পঠিতব্য কোন দু‘আ শিশুর জানাযায় পাঠ করা যাবে না। বরং শিশুর জন্য পঠিতব্য দু‘আঃ

اللهم اجعله لنا فرطاً الخ পাঠ করেই সীমাবদ্ধ রাখবে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৫: জানাযা (كتاب الجنائز)