পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা
১৬৫০-[৫] ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জানাযাহ্ দেখে দাঁড়াতে দেখলাম। আমরাও তার সাথে দাঁড়িয়ে গেলাম। তিনি বসলে আমরাও বসলাম। (মুসলিম; ইমাম মালিক ও আবূ দাঊদের বর্ণনার ভাষ্য হলো, তিনি জানাযাহ্ দেখে দাঁড়াতেন, তারপর বসতেন।)[1]
الْمَشْيُ بِالْجَنَازَةِ وَالصَّلَاةُ عَلَيْهَا
وَعَن عَليّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ: رَأَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَامَ فَقُمْنَا وَقَعَدَ فَقَعَدْنَا يَعْنِي فِي الْجَنَازَةِ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَفِي رِوَايَةِ مَالِكٍ وَأَبِي دَاوُدَ: قَامَ فِي الْجَنَازَةِ ثُمَّ قَعَدَ بَعْدُ
ব্যাখ্যা: ‘আলী (রাঃ) বলেন, ‘‘রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসলেন, আমরাও বসলাম’’, এর অর্থ সম্ভবত জানাযাহ্ অতিক্রম হয়ে দূরে চলে যাওয়ার পর তিনি বসেছিলেন, জানাযাহ্ নিকটে থাকতে নয়। অথবা ঐ সময়ে তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন, পরবর্তীতে তিনি আর দাঁড়াননি। এর দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, তার ‘আমর’ বা নির্দেশটি ওয়াজিব অর্থে নয় বরং মুস্তাহাব অর্থে। দাঁড়ানোর হুকুম মানসূখ বা রহিত বলার চেয়ে এ জাতীয় ব্যাখ্যা বেশী গ্রহণযোগ্য।
ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেনঃ এ হাদীসটি নাসেখ হওয়ার স্পষ্ট দলীল হতে পারে না। কেননা বসার বিষয়টি বায়ানে জাওয়ায বা বৈধ প্রমাণের জন্যও হতে পারে। মানসূখ তো তখনই ধরতে হয় যখন দু’টি পরস্পর বিরোধী হাদীসের মধ্যে সমম্বয় সম্ভব হয় না। অথচ এ দু’টি হাদীসের মধ্যে সুন্দর সমম্বয় সাধিত হয়েছে।
শায়খুল হাদীস আল্লামা ‘উবায়দুল্লাহ মুবারকপূরী (রহঃ) এ বিষয়ের বিস্তারিত দলীল-প্রমাণ উপস্থাপনের পর বলেনঃ আমার নিকট প্রাধান্যযোগ্য কথা ওটাই যা ইমাম আহমাদ (রহঃ) গ্রহণ করেছেন। আর তা হলো প্রত্যেকের স্বাধীন ইচ্ছা, সে যদি দাঁড়ায় তাতে যেমন কোন দোষ নেই ঠিক তার বসে থাকাতেও কোন সমস্যা নেই।