পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা
১৬৪৬-[১] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জানাযার কার্যক্রম সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) তাড়াতাড়ি আদায় কর। কারণ মৃত ব্যক্তি যদি নেক মানুষ হয় তাহলে তার জন্য কল্যাণ। কাজেই তাকে কল্যাণের দিকে তাড়াতাড়ি পাঠিয়ে দেবে। সে এরূপ না হলে খারাপ হবে। তাই তাকে তাড়াতাড়ি নিজেদের ঘাড় থেকে নামিয়ে দাও। (বুখারী, মুসলিম)[1]
الْمَشْيُ بِالْجَنَازَةِ وَالصَّلَاةُ عَلَيْهَا
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَسْرِعُوا بِالْجَنَازَةِ فَإِنْ تَكُ صَالِحَةً فَخَيْرٌ تُقَدِّمُونَهَا إِلَيْهِ وَإِنْ تَكُ سِوَى ذَلِكَ فشر تضعونه عَن رقابك»
ব্যাখ্যা: জানাযার কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার ‘আমর’ বা নির্দেশটি মুস্তাহাব অর্থে, ওয়াজিব অর্থে নয়। এটা ‘উলামাদের ঐকমত্যের ভিত্তিতেই। একমাত্র ইবনু হাযম এটাকে ওয়াজিব বলেছেন।
জানাযাহ্ নিয়ে দ্রুত চলার অর্থ এই নয় যে, লাশ কাঁধে নিয়ে দৌড়াবে। বরং মধ্যপন্থায় চলবে। ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ) বলেন, দ্রুত চলার অর্থ হলো ধীরস্থির হাঁটার চেয়ে একটু বেশী, অর্থাৎ একটি ভারসাম্যপূর্ণ চলন।
হাফিয ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেন, এটাই জমহূরের মত।
জানাযাহ্ কাঁধে নিয়ে একেবারে মন্থরগতিতে চলা অপছন্দনীয়। আবার এমন দ্রুতও চলবে না যাতে কারী এবং তার অনুগামীদের কষ্ট হয়। অন্যদিকে মাইয়্যিতেরও কোন ক্ষতি না হয়।
এ দ্রুততা কি শুধু লাশ বহনকালে না অন্য কাজেও?
এ প্রশ্নের জবাবে আল্লামা সিন্ধী বলেন, হাদীসের প্রকাশ্য অর্থে লাশ বহনের ক্ষেত্রেই এ নির্দেশ, তবে অন্যান্য কাজেও।
যেমন তাকে গোসল দান, কাফন পরানো ইত্যাদির ক্ষেত্রেও এ হুকুম প্রযোজ্য।
ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেনঃ প্রথম ব্যাপারেই হুকুম নির্দিষ্ট তবে অন্যান্য ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।