১৬৩৭

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - মাইয়্যিতের গোসল ও কাফন

১৬৩৭-[৪] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি (হাজ্জের সময়) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ছিলেন। তার উটটি (তাকে পিঠ থেকে ফেলে দিয়ে) তার ঘাড় ভেঙে দিলো। তিনি ইহরাম অবস্থায় ছিলেন। এ অবস্থায়ই তিনি মৃত্যুবরণ করলেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাকে পানি ও বরই পাতা দিয়ে গোসল দাও। আর তাকে তার দু’টি কাপড় দিয়ে কাফন দাও। তার গায়ে কোন সুগন্ধি লাগিও না, তার মাথাও ঢেক না। কারণ তাকে কিয়ামতের (কিয়ামতের) দিন ’লাব্বায়ক’ বলা অবস্থায় উঠানো হবে। (বুখারী, মুসলিম)[1]

মুস্’আব ইবনু ’উমায়র (রাঃ)-এর নিহত হওয়ার ঘটনা সম্পর্কিত খব্বাব (রাঃ)-এর হাদীসটি আমরা অচিরেই ’’সাহাবীগণের মর্যাদা’’ অধ্যায়ে উল্লেখ করব ইনশা-আল্ল-হ।

بَابُ غُسْلِ الْمَيِّتِ وَتَكْفِيْنِه

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: إِنَّ رَجُلًا كَانَ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَوَقَصَتْهُ نَاقَتُهُ وَهُوَ مُحْرِمٌ فَمَاتَ ن فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اغْسِلُوهُ بِمَاءٍ وَسِدْرٍ وَكَفِّنُوهُ فِي ثَوْبَيْهِ وَلَا تَمَسُّوهُ بِطِيبٍ وَلَا تُخَمِّرُوا رَأْسَهُ فَإِنَّهُ يُبْعَثُ يَوْم الْقِيَامَة ملبيا»
وَسَنَذْكُرُ حَدِيثَ خَبَّابٍ: قَتْلُ مُصْعَبِ بْنِ عُمَيْرٍ فِي بَابِ جَامِعِ الْمَنَاقِبِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ

وعن عبد الله بن عباس قال: ان رجلا كان مع النبي صلى الله عليه وسلم فوقصته ناقته وهو محرم فمات ن فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «اغسلوه بماء وسدر وكفنوه في ثوبيه ولا تمسوه بطيب ولا تخمروا راسه فانه يبعث يوم القيامة ملبيا» وسنذكر حديث خباب: قتل مصعب بن عمير في باب جامع المناقب ان شاء الله

ব্যাখ্যা: (اغْسِلُوهُ بِمَاءٍ وَسِدْرٍ) তাকে গোসল দান কর পানি ও বরই পাতা সহকারে। এতে দলীল প্রমাণ করে মৃত ব্যক্তিকে গোসলদান ওয়াজিব।

(وَكَفِّنُوهُ فِي ثَوْبَيْهِ) তাকে কাফন দাও দু’ কাপড়ে তথা তার লুঙ্গি ও চাদর দিয়ে যা সে পরিধান করেছিল ইহরামে। আর এতে তথা কাফনে বেজোড় শর্ত না। আর ইতিপূর্বে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর হাদীসে তিন তা ওয়াজিব না। বরং তা মুস্তাহাব। এটা জমহূরের বক্তব্য তবে এমন একটি কাফন হওয়া প্রয়োজন যা সমস্ত শরীরকে আবৃত করে।

আর হাদীসটিকে দলীল হিসেবে প্রমাণ করেন শাফি‘ঈ, আহমাদ, ইসহাক, সাওরী এবং ‘আত্বা যে যখন মুহরিম ব্যক্তি মারা যান তিনি ইহরামের হুকুমেই থাকেন এজন্য তার মাথা ঢাকা যাবে না এবং সুগন্ধি লাগানো যাবে না এবং ইহরামের দু’ কাপড় দিয়ে কাফন করা হবে।

আর এ ব্যাপারে বিরোধিতা করেছেন মালিক ও আবূ হানীফাহ্ তারা দলীল পেশ করেছেন (إَذَا مَاتَ ابْنُ آدَمَ انْقَطَعَ عَمَلُه) যখন মানুষ মারা যাবে তার ‘আমল বন্ধ হয়ে যায় এর জবাবে বলা হয়েছে তার ইহরামের কাপড় দিলে কাফন করা তা জীবিতাবস্থার ‘আমল মৃত্যুর পরে গোসল ও তার ওপর জানাযাহ্ আদায়ের মতো।

আর হানাফী ও মালিকী বা ইবনু ‘আব্বাস-এর হাদীসের জবাবে বলেছেন, সম্ভবত ঐ মুহরিম ব্যক্তির জন্য খাস যার ব্যাপারে আল্লাহ ওয়াহী করে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জানিয়েছেন। সুতরাং বিষয়টি নির্দিষ্ট ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট ‘আমভাবে না।

‘আবদুল হাই কা‘নাবী জবাবে বলেছেন, তালবিয়াহ্ পড়তে পড়তে ক্বিয়ামাতের (কিয়ামতের) দিনে উঠা এটি খাস নয় বরং ‘আম প্রত্যেক মুহরিম ব্যক্তির জন্য এমন কেননা এভাবে হাদীসের শব্দ এসেছে,  (يُبْعَثُ كُلُّ عَبْدٍ عَلى مَا مَاتَ عَلَيْهِ)  প্রত্যেক বান্দা এভাবে উঠবে, যে যেভাবে মারা গেছে। (মুসলিম)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৫: জানাযা (كتاب الجنائز)