১৬২১

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মুমূর্ষু ব্যক্তির নিকট যা বলতে হয়

১৬২১-[৬] মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তির শেষ কথা, ’’লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ’ (অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন ইলাহ নেই) হবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (আবূ দাঊদ)[1]

عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ كَانَ آخِرُ كَلَامِهِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ دَخَلَ الْجَنَّةَ» رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

عن معاذ بن جبل قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «من كان اخر كلامه لا اله الا الله دخل الجنة» رواه ابو داود

ব্যাখ্যা: (دَخَلَ الْجَنَّةَ) জান্নাতে প্রবেশ করবে খাস করে শাস্তির পূর্বে অথবা তাকে তার পাপনুযায়ী শাস্তি দেয়া হবে তার পরে জান্নাতে প্রবেশ করাবে। তবে প্রথমটিই বেশি প্রাধান্য অন্য মু’মিনের সাথে পার্থক্য সৃষ্টির জন্য যাদের শেষ বাক্য এই কালিমা ছিল না যেমনটি মুল্লা ‘আলী ক্বারী বলেছেন।

ইবনে রাসলান বলেছেন, জান্নাতে প্রবেশের বিষয়টি যদি সে পাপী হয় এবং তাওবাকারী না হয় তাহলে প্রথমবারেই (জান্নাতে প্রবেশ) আল্লাহর ইচ্ছার সাথে সংশ্লিষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন অথবা শাস্তির পরে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। দ্বিতীয়তঃ সম্ভাবনা রয়েছে তার শেষ বাক্য কালিমার জন্য সম্মান স্বরূপ তাকে ক্ষমা করে আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। যা অন্য মু’মিন ব্যক্তির ক্ষেত্রে শেষ বাক্য কালিমা পড়ার তাওফীক হয়নি। আমি ভাষ্যকার এর নিকট দ্বিতীয় মতটিই গ্রহণযোগ্য।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৫: জানাযা (كتاب الجنائز)