পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৫৬-[৩৪] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কোন ব্যক্তি কোন অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যায় তখন সে যেন বলে, ’’আল্ল-হুম্মাশফি ’আবদাকা ইয়ানকাউ লাকা ’আদ্যুওয়ান আও ইয়ামশী লাকা ইলা- জানা-যাহ্’’ (অর্থা- হে আল্লাহ! তোমার বান্দাকে সুস্থ করে দাও। সে যাতে তোমার জন্য শত্রুকে আঘাত করতে পারে। অথবা তোমার সন্তুষ্টির জন্য জানাযায় অংশ নিতে পারে।)। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا جَاءَ الرجل يعود مَرِيضا فَلْيقل ك اللَّهُمَّ اشْفِ عَبْدَكَ يَنْكَأُ لَكَ عَدُوًّا أَوْ يَمْشِي لَكَ إِلَى جِنَازَةٍ» رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ
ব্যাখ্যা: (يَنْكَأُ لَكَ) ‘‘তোমার সন্তুষ্টির উদ্দেশে শত্রুকে যেন হত্যা করতে পারে’’ উদ্দেশ্য তোমার রাস্তায় যেন সে যুদ্ধ করে। (إِلى جِنَازَةٍ) দ্বারা উদ্দেশ্য সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) যেমন হাকিম-এর বর্ণনায় এসেছে, তবে এটি ব্যাপক অর্থের উপর প্রমাণ বহন করে।
ত্বীবী বলেন, সম্ভবত শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ও জানাযার সালাতে অংশগ্রহণ মধ্যে একত্রিতকরণের কারণ হল প্রথমটিতে আল্লাহর শত্রুর ওপর প্রতিশোধ নিতে একান্তভাবে মনোনিবেশ করা আর দ্বিতীয়টিতে আল্লাহর বন্ধুদের প্রতি রহমাত পৌঁছাতে প্রচেষ্টা করা বা দ্রুত বাস্তবায়িত করা।