পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫২৬-[৪] বারা ইবনু ’আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সাতটি আদেশ ও সাতটি কাজ করতে নিষেধ করেছেন। তিনি আমাদেরকে আদেশ করেছেন- (১) রোগীর খোঁজ-খবর নিতে, (২) জানাযায় শরীক হতে, (৩) হাঁচির আলহামদুলিল্লা-হ’র জবাবে ইয়ারহামুকাল্ল-হ বলতে, (৪) সালামের জবাব দিতে, (৫) দা’ওয়াত দিলে তা কবূল করতে, (৬) কসম করলে তা পূর্ণ করতে, (৭) মাযলূমের সাহায্য করতে।
এভাবে তিনি আমাদেরকে (১) সোনার আংটি পরতে, (২) রেশমের পোশাক, (৩) ইস্তিবরাক [মোটা রেশম], (৪) দীবাজ [পাতলা রেশম] পরতে, (৫) লাল নরম গদীতে বসতে, (৬) ক্বাস্সী ও (৭) রূপার পাত্র ব্যবহার করতে। কোন কোন বর্ণনায়, রূপার পাত্রে পান করতে নিষেধ করেছেন। কেননা যে ব্যক্তি দুনিয়াতে রূপার পাত্রে পান করবে আখিরাতে সে তাতে পান করতে পারবে না। (বুখারী, মুসলিম)[1]
بَابُ عِيَادَةِ الْمَرِيْضِ وَثَوَابِ الْمَرَضِ
وَعَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ: أَمَرَنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسَبْعٍ وَنَهَانَا عَنْ سَبْعٍ أَمَرَنَا: بِعِيَادَةِ الْمَرِيضِ وَاتِّبَاعِ الْجَنَائِزِ وَتَشْمِيتِ الْعَاطِسِ وَرَدِّ السَّلَامِ وَإِجَابَةِ الدَّاعِي وَإِبْرَارِ الْمُقْسِمِ وَنَصْرِ الْمَظْلُومِ وَنَهَانَا عَنْ خَاتَمِ الذَّهَبِ وَعَنِ الْحَرِيرِ والْإِسْتَبْرَقِ وَالدِّيبَاجِ وَالْمِيثَرَةِ الْحَمْرَاءِ وَالْقَسِّيِّ وَآنِيَةِ الْفِضَّةِ وَفِي رِوَايَةٍ وَعَنِ الشُّرْبِ فِي الْفِضَّةِ فَإِنَّهُ مَنْ شَرِبَ فِيهَا فِي الدُّنْيَا لم يشرب فِيهَا فِي الْآخِرَة
ব্যাখ্যা: الْقَسِّيِّ ‘ক্বাসসী’ সহীহুল বুখারীতে পোশাক অধ্যায়ে এর ব্যখ্যা এসেছে যে এমন কারুকার্য খচিত রেশমী কাপড় যা শাম (সিরিয়া) অথবা মিসর হতে আনা হত (তৎকালে)। জাযারী বলেনঃ মিসর হতে আমদানীকৃত রেশমযুক্ত কাত্তানী তাঁত কাপড়। রূপার পাত্র হারাম সোনার পাত্র আরও বেশি হারাম। অন্য হাদীসে সুস্পষ্টভাবে তা হারাম করেছে। আর এটা হারাম অপচয় ও অহংকারের জন্য। খাত্ত্বাবী বলেন, এ বিষয়গুলো হুকুমের বিধানের ভিন্নতা রয়েছে। ‘আম, খাস এবং ওয়াজিব। সুতরাং সোনার আংটি অনুরূপ যা উল্লেখ্য রেশম ও দিবাজ পরিধান করা খাস করে পুরুষের জন্য হারাম। আর রৌপের পাত্র ‘আমভাবে পুরুষ, মহিলা সকলের জন্য হারাম, কেননা তা অপচয় ও অহংকারের পথ।