পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
অধিকাংশ লেখকবৃন্দ এর মধ্যে মুহাদ্দিসগণ ও ফুকাহারা জানাযাহ্ পর্বকে সালাতের পরে এনেছেন। কেননা মৃত ব্যক্তির সাথে গোসল, কাফন ইত্যাদি ক্রম করা হয় বিশেষ করে তার ওপর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করা হয় যেখানে তার জন্য কবরের ’আযাব হতে মুক্তি পাওয়ার উপকারিতা বিদ্যমান থাকে। কারো মতে মানুষের দু’ অবস্থা একটি জীবিত অপরটি মৃত অবস্থা আর প্রত্যেকটির সাথে সম্পর্ক থাকে ’ইবাদাত ও মু’আমিলাতের হুকুম-আহকাম। আর গুরুত্বপূর্ণ ’ইবাদাত হচ্ছে সালাত। সুতরাং যখন জীবিতকালীন সম্পর্কিত হুকুম-আহকাম হতে মুক্ত হল তখন মৃত্যুকালীন সম্পর্কিত বিষয়াদি আলোচনা করা হল তন্মধ্যে সালাত ও অন্যান্য বিষয়।
কারো মতে, জানাযার সালাত শুরু হয়েছে হিজরীর প্রথম বৎসরে, সুতরাং যারা মক্কায় মারা গেছে তাদের ওপর সালাত আদায় হয়নি।
১৫২৩-[১] আবূ মূসা আল আশ্’আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ক্ষুধার্থকে খাবার দিও, অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যেও, বন্দী ব্যক্তিকে মুক্ত করার ব্যবস্থা করো। (বুখারী)[1]
بَابُ عِيَادَةِ الْمَرِيْضِ وَثَوَابِ الْمَرَضِ
عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَطْعِمُوا الْجَائِعَ وَعُودُوا الْمَرِيض وفكوا العاني» . رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যা: ক্ষুধার্থকে খাদ্য দান করা ভাল অথবা ওয়াজিব যদি ক্ষুধার্থ ব্যক্তি ক্ষুধার জালায় কাতর হয়। কারও মতে সুন্নাহ। কাতর না হলে আর কাতর হলে ফারযে কিফায়াহ্। রুগ্নকে দেখাশোনা বা সেবা-শশ্রুসা করার লোক থাকে তাহলে দেখতে যাওয়া এবং খোঁজ-খবর নেয়া সুন্নাত আর যদি কেউ না থাকে তাহলে তত্ত্বাবধান করা ওয়াজিব। তবে ইমাম বুখারী আদেশসূচক ভাষ্য দ্বারা ওয়াজিব সাব্যস্ত করেছেন এবং অধ্যায় বেঁধেছেন بَابُ وُجُوْبِ عِيْادَةِ الْمَرِيْضِ ‘রোগী ব্যক্তিকে দেখাশুনা ও খোঁজ-খবর নেয়া ওয়াজিব’ অধ্যায়।
রোগী দেখার আদাব বা বৈশিষ্ট্যঃ
১। রোগীর পাশে বেশিক্ষণ অবস্থান না করা যাতে সে বিরক্ত হয় অর্থাৎ তার পরিবারের কষ্ট হয় আর যদি অবস্থান করা জরুরী হয়ে পড়ে তাহলে বাধা নেই।
২। রোগীর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিবে এবং নম্র্ভাবে কথা বলবে ও সান্ত্বনা দিবে হতে পারে এর মাধ্যমে রোগী নিজেকে প্রাণবন্ততা ও নবশক্তি অনুভব করবে।
বন্দীকে মুক্ত করঃ মুসলিম বন্দীকে কাফিরের হাত থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করা অথবা অন্যায়ভাবে আটককৃত বন্দীকে মুক্তির ব্যবস্থা করা। কারো মতে বন্দী মুক্তির ব্যবস্থা করা ফারযে কিফায়াহ্। কারো মতে অর্থ হল দাসমুক্ত করা।