১৫১৩

পরিচ্ছেদঃ ৫৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - ঝড় তুফানের সময়

১৫১৩-[৩] উল্লেখিত রাবী [’আয়িশাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন,

’’আল্ল-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা খয়রহা- ওয়া খয়রা মা- ফীহা- ওয়া খয়রা মা- উরসিলাত বিহী ওয়া আ’ঊযুবিকা মিন শাররিহা- ওয়া শাররি মা- ফীহা- ওয়া শাররি মা- উরসিলাত বিহী’’

(অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট এ ঝড়ো হাওয়ার কল্যাণের দিক কামনা করছি। কামনা করছি এর মধ্যে যা কিছু কল্যাণ নিহিত রয়েছে। যে কারণে এ ঝড়ো হাওয়া পাঠানো হয়েছে সে কল্যাণ চাই। আমি আশ্রয় চাই তোমার নিকট এর ক্ষতির দিক থেকে এবং এতে যা কিছু ক্ষতি নিহিত আছে এবং যে ক্ষতির জন্য তা পাঠানো হয়েছে তা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি।)।

(’আয়িশাহ্ বলেন) আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে গেলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুখমণ্ডল বিবর্ণ হয়ে যেত। তিনি বিপদের ভয়ে একবার বের হয়ে যেতেন। আবার প্রবেশ করতেন। কখনো সামনে আসতেন। কখনো পেছনে সরতেন। বৃষ্টি শুরু হলে তার উৎকণ্ঠা কমে যেত। বর্ণনাকারী বলেন, একবার ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর কাছে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ উৎকণ্ঠা অনুভূত হলে তিনি তাঁর নিকট এর কারণ জিজ্ঞেস করলেন। তিনি বললেন, হে ’আয়িশাহ্! এ ঝড়ো হাওয়া এমনতো হতে পারে যা ’আদ জাতি ভেবে ছিল। আল্লাহ তা’আলা কুরআনে বলেন, ’’তারা যখন একে তাদের মাঠের দিকে আসতে দেখল, বললো, এটা তো মেঘ। আমাদের ওপর পানি বর্ষণ করবে’’- (সূরাহ্ আল আহক্বাফ ৪৬: ২৪)। অন্য এক বর্ণনায় আছে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বাভাবিক বৃষ্টি দেখলে বলতেন, এটা আল্লাহর রহমত। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابٌ فِي الرِّيَاحِ

عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا عَصَفَتِ الرِّيحُ قَالَ: «اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا فِيهَا وَخَيْرَ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا فِيهَا وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ» وَإِذَا تَخَيَّلَتِ السَّمَاءُ تَغَيَّرَ لَونه وحرج وَدَخَلَ وَأَقْبَلَ وَأَدْبَرَ فَإِذَا مَطَرَتْ سُرِّيَ عَنْهُ فَعَرَفَتْ ذَلِكَ عَائِشَةُ فَسَأَلَتْهُ فَقَالَ: لَعَلَّهُ يَا عَائِشَةُ كَمَا قَالَ قَوْمُ عَادٍ: (فَلَمَّا رَأَوْهُ عَارِضًا مُسْتَقْبِلَ أَوْدِيَتِهِمْ قَالُوا: هَذَا عَارِضٌ مُمْطِرُنَا)
وَفِي رِوَايَةٍ: وَيَقُولُ إِذَا رَأَى الْمَطَرَ «رَحْمَةً»

عن عاىشة رضي الله عنها قالت: كان النبي صلى الله عليه وسلم اذا عصفت الريح قال: «اللهم اني اسالك خيرها وخير ما فيها وخير ما ارسلت به واعوذ بك من شرها وشر ما فيها وشر ما ارسلت به» واذا تخيلت السماء تغير لونه وحرج ودخل واقبل وادبر فاذا مطرت سري عنه فعرفت ذلك عاىشة فسالته فقال: لعله يا عاىشة كما قال قوم عاد: (فلما راوه عارضا مستقبل اوديتهم قالوا: هذا عارض ممطرنا) وفي رواية: ويقول اذا راى المطر «رحمة»

ব্যাখ্যা: هذَا عَارِضٌ مُمْطِرُنَا এটাতো মেঘ এটা আমাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষণ করবে। আল্লাহ তা‘আলার তাদের দাবী খন্ডন করে বলেন, বরং এটা সে মেঘ যে ‘আযাবের ব্যাপারে তোমরা তাড়াহুড়া করছিলে তাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে। যেমন আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ

تُدَمِّرُ كُلَّ شَيْءٍ بِأَمْرِ رَبِّهَا فَأَصْبَحُوْا لَا يُرى إِلَّا مَسَاكِنُهُمْ كَذلِكَ نَجْزِي الْقَوْمَ الْمُجْرِمِيْنَ

‘‘তার পালনকর্তার আদেশ সেসব কিছুকে ধ্বংস করে দিবে। অতঃপর তারা ভোর বেলায় এমন হয়ে গেল যে, তাদের বসতিগুলো ছাড়া কিছুই দৃষ্টিগোচর হয় না।’’ (সূরাহ্ আল আহ্ক্বাফ ৪৬ : ২৫)

আর হাদীসে ভয়ানক পরিবেশের সময় আল্লাহকে ভয় ও তাঁরই কাছে আশ্রয় গ্রহণ করার প্রস্ত্ততির কথা বলা হয়েছে। বিশেষ করে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ভয় ছিল কোন পাপকারীর পাপের কারণে ‘আযাবের সম্মুখীন হতে পারে। আরও হাদীসে স্মরণ করে দেয়া হয়েছে ইতিপূর্বের জাতিরা পতিত ‘আযাবের বিষয়ে বেখেয়াল ছিল।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)