১৪৮৮

পরিচ্ছেদঃ ৫০. প্রথম অনুচ্ছেদ - সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের সালাত

১৪৮৮-[৯] ’আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ্ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবদ্দশায় মদীনায় আমি আমার তীরগুলো (লক্ষস্থলে) নিক্ষেপের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছিলাম। এ সময় সূর্যগ্রহণ শুরু হলো। তীরগুলো আমি ছুঁড়ে ফেলে দিলাম। মনে মনে বললাম, আল্লাহর কসম! আমি আজ দেখব সূর্যগ্রহণের সময় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আজ কি করেন। এরপর আমি তাঁর নিকট এলাম। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সালাতে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি তাঁর হাত দু’টি উঠিয়ে সূর্যগ্রহণ ছেড়ে না যাওয়া পর্যন্ত আল্লাহর তাসবীহ্, তাহলীল, তাকবীর ও হামদ করেছেন। আল্লাহর দরবারে দু’আয় মশগুল রয়েছেন। সূর্যগ্রহণ ছেড়ে গেলে তিনি দু’টি সূরাহ্ পড়লেন ও দু’ রাক্’আত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করলেন- (মুসলিম; শারহে সুন্নাতেও হাদীসটি এভাবে ’আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ্ হতে বর্ণিত হয়েছে। আর মাসাবীহ হতেও এ বর্ণনাটি জাবির ইবনু সামুরাহ্ হতে নকল করা হয়েছে।)[1]

بَابُ صَلَاةِ الْخُسُوْفِ

وَعَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: كُنْتُ أرتمي بأسهم لي بالمدين فِي حَيَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ كُسِفَتِ الشَّمْسُ فَنَبَذْتُهَا. فَقُلْتُ: وَاللَّهِ لَأَنْظُرَنَّ إِلَى مَا حَدَثَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي كُسُوفِ الشَّمْسِ. قَالَ: فَأَتَيْتُهُ وَهُوَ قَائِمٌ فِي الصَّلَاةِ رَافِعٌ يَدَيْهِ فَجعل يسبح ويهلل وَيكبر ويحمد وَيَدْعُو حَتَّى حَسَرَ عَنْهَا فَلَمَّا حَسَرَ عَنْهَا قَرَأَ سُورَتَيْنِ وَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ فِي صَحِيحِهِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ وَكَذَا فِي شَرْحِ السُّنَّةِ عَنْهُ وَفِي نُسَخِ الْمَصَابِيحِ عَنْ جَابِرِ بن سَمُرَة

وعن عبد الرحمن بن سمرة قال: كنت ارتمي باسهم لي بالمدين في حياة رسول الله صلى الله عليه وسلم اذ كسفت الشمس فنبذتها. فقلت: والله لانظرن الى ما حدث لرسول الله صلى الله عليه وسلم في كسوف الشمس. قال: فاتيته وهو قاىم في الصلاة رافع يديه فجعل يسبح ويهلل ويكبر ويحمد ويدعو حتى حسر عنها فلما حسر عنها قرا سورتين وصلى ركعتين. رواه مسلم في صحيحه عن عبد الرحمن بن سمرة وكذا في شرح السنة عنه وفي نسخ المصابيح عن جابر بن سمرة

ব্যাখ্যা: (وَهُوَ قَائِمٌ فِي الصَّلَاةِ رَافِعٌ يَدَيْهِ) সালাতে দন্ডায়মান অবস্থায় দু’হাত উঠাতেন। নাবাবী বলেন, এতে আমাদের সাথীদের জন্য সুস্পষ্ট দলীল যে, কুনূতেও দু’হাত উত্তোলন হবে আর দু‘আর সালাতে হাত উত্তোলন করা যাবে না তাদের বিরুদ্ধেও এটা দলীল।

(فَلَمَّا حَسَرَ عَنْهَا قَرَأَ سُورَتَيْنِ وَصَلّى رَكْعَتَيْنِ) ‘অতঃপর সূর্যগ্রহণ ছেড়ে গেল’ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’টি সূরাহ্ পাঠ করলেন এবং দু’ রাক্‘আত সালাত আদায় করলেন। এটা সুস্পষ্ট যে, সূর্য দ্বীপ্তমান হবার পরে সালাতরত অবস্থায় ছিলেন এটা সকল রিওয়ায়াতের বিপরীত। অনেকের মন্তব্য যে, এটা স্বতন্ত্র নফল সালাত ছিল সূর্যগ্রণের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ছিল না। এটা এ কথার বিপরীত যেন (فَأَتَيْتُه وَهُوَ قَائِمٌ فِي الصَّلَاةِ) রাবী বলেন, আমি আসলাম এবং তাঁকে (রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে) সালাত অবস্থায় পেলাম।

লাম্‘আত গ্রন্থে বলেনঃ দু’ রাক্‘আত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) পূর্ণ করেছেন যা তিনি আরম্ভ করেছিলেন, সালাতরত অবস্থায় সূর্যগ্রহণ ছেড়ে গেছে। ত্বীবী বলেনঃ সালাতে প্রবেশ করেছেন প্রথম কিয়ামে অবস্থান করেছেন আর তাসবীহ, তাহলীল তাকবীর, তাহমীদ করেছেন, ইতোমধ্যে সূর্যগ্রহণ ছেড়ে গেছে। অতঃপর কুরআন পড়লেন, রুকূ' করলেন, সিজদা(সিজদা/সেজদা) করলেন। অনুরূপ দ্বিতীয় রাক্‘আতের জন্য দাঁড়ালেন, তিলাওয়াত করলেন, রুকূ' করলেন সিজদা (সিজদা/সেজদা) করলেন তাশাহুদ পাঠ করলেন এবং সালাম ফিরালেন। আর এ হাদীস প্রমাণ করে তিনি দু’ রাক্‘আত আদায় করেছেন এবং প্রত্যেক রাক্‘আতে একটি করে রুকূ' করেছেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)