পরিচ্ছেদঃ ৪৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - দু’ ঈদের সালাত
১৪৪০-[১৫] বুরায়দাহ্ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন কিছু না খেয়ে ও ঈদুল আযহার দিন কিছু খেয়ে সালাতের জন্য বের হতেন না। (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, দারিমী)[1]
وَعَن بُرَيْدَة قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَخْرُجُ يَوْمَ الْفِطْرِ حَتَّى يَطْعَمَ وَلَا يَطْعَمُ يَوْمَ الْأَضْحَى حَتَّى يُصَلِّيَ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْن مَاجَه والدارمي
ব্যাখ্যা: হাদীসটি প্রমাণ করে যে, সুন্নাহ হল ঈদুল ফিতরে সালাতের পূর্বে খাওয়া আর কুরবানী ঈদে সালাতের পরে খাওয়া। ঈদুল আযহায় দেরী করে খাওয়ার হিকমাত হল, কেননা ঐদিনে কুরবানী শুরু করবে আর কুরবানীর গোশ্ত (গোশত/গোস্ত/গোসত) দিয়ে ইফত্বার করবে। যায়ন ইবনু মুনীর বলেছেনঃ দু’ঈদের নির্দিষ্ট সদাক্বাহ্ (সাদাকা) রয়েছে ঈদুল ফিতরের সদাক্বাহ্ (সাদাকা) ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে আর ঈদুল আযহার সদাক্বাহ্ (সাদাকা) পশু যাবাহের পর। আহমাদ বিন হাম্বাল বলেন, যার কুরবানী রয়েছে সে ফিরে আসার পর খাবে কেননা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাবাহকৃত গোশ্ত (গোশত/গোস্ত/গোসত) খেয়েছেন ফিরে আসার পর। আর যার কুরবানী নেই তার খাওয়াতে বাধা নেই।