১৪৩০

পরিচ্ছেদঃ ৪৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - দু’ ঈদের সালাত

১৪৩০-[৫] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন মাত্র দু’ রাক্’আত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করেছেন। এর পূর্বেও তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কোন সালাত আদায় করেননি, পরেও পড়েননি। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ صَلَاةِ الْعِيْدَيْنِ

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى يَوْمَ الْفِطْرِ رَكْعَتَيْنِ لَمْ يُصَلِّ قَبْلَهُمَا وَلَا بَعْدَهُمَا

وعن ابن عباس: ان النبي صلى الله عليه وسلم صلى يوم الفطر ركعتين لم يصل قبلهما ولا بعدهما

ব্যাখ্যা: (صَلّى يَوْمَ الْفِطْرِ رَكْعَتَيْنِ) রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিত্রের দিনে দু’ রাক্‘আত আদায় করেছেন। এটা প্রমাণ করে ঈদের সালাত দু’ রাক্‘আত যে ইমামের সাথে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে। আর যে ইমামের সাথে আদায় করতে পারেনি সে একা আদায় করলেও অধিকাংশের মতে দু’ রাক্‘আতেই আদায় করবে। আর আহমাদ ও সাওরীর মতে চার রাক্‘আত আদায় করবে।

সা‘ঈদ ইবনু মানসূর বর্ণনা করেছেন সহীহ সানাদে ইবনু মাস্‘ঊদ হতে বর্ণিত যার ঈদের সালাত ইমামের সাথে ছুটে যাব সে যেন চার রাক্‘আত আদায় করে। আর ইমাম আবূ হানীফাহ্ বলে যে, ঈদের সালাত ক্বাযা আদায় করবে তার ইচ্ছাধীন। দু’ রাক্‘আতের আদায় করতে পারে বা চার রাক্‘আতের।

(وَلَا بَعْدَهُمَا) পরেও ঈদগাহে আদায় করেননি তবে বাড়ী যেয়ে দু’ রাক্‘আত আদায় করবে। আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী (রাঃ)-এর হাদীস, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের সালাতের পূর্বে কোন সালাত আদায় করতেন না আর বাড়ীতে ফিরে দু’ রাক্‘আত আদায় করতেন। আহমাদ, ইবনু মাজাহ, হাকিম; হাফিয, ফাতহুল বারী ও বুলূগুল মারামে হাদীসটি সহীহ বলেছেন। ‘উলামারা মতানৈক্য করেছেন ঈদের সালাতের পূর্বে ও পরে নফল সালাতের ব্যাপারে। ইমাম আহমাদ এ মতে গেছেন, ইমাম মুক্তাদী কারও জন্য ঈদগাহে অথবা মসজিদে কোথাও সালাতের পূর্বে ও পরে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) বৈধ না।

আর এটা ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) ও ইবনু ‘উমার (রাঃ) আরও অনেক সাহাবীর অভিমত। আর ইমাম মালিক-এর মতে ঈদগাহে বৈধ না ইমাম ও মুক্তাদীর জন্য আর মাসজিদ হলে দু’টি মত একটি বৈধ না, অপরটি বৈধ। আর হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ মুদ্দা কথা হল ঈদের সালাতের পূর্বে বা পরে কোন সালাত আদায় করা সুন্নাহ হতে সাব্যস্ত নেই। আর যারা বলেন, জুমু‘আর উপর কিয়াস করে। আমি ভাষ্যকার বলি, আমার নিকট আহমাদ-এর মতটিই বেশি গ্রহণযোগ্য।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)