১৪০২

পরিচ্ছেদঃ ৪৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - খুতবাহ্ ও সালাত

১৪০২-[২] সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা জুমু’আর দিন জুমু’আর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করার পূর্বে খাবারও গ্রহণ করতাম না, বিশ্রামও করতাম না। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ الْخُطْبَةِ وَالصَّلَاةِ

وَعَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ: مَا كُنَّا نُقِيلُ وَلَا نَتَغَدَّى إِلَّا بَعْدَ الْجُمُعَة

وعن سهل بن سعد قال: ما كنا نقيل ولا نتغدى الا بعد الجمعة

ব্যাখ্যা: আন্ নিহায়াহ্ গ্রন্থে রয়েছে যে, ক্বায়লুলাহ্ হলো অর্ধ দিবসে বিশ্রাম গ্রহণ করা, যদিও তার সাথে ঘুম না থাকে।

(اَلْغَدَاء) ঐ খাদ্য, যা দিনের প্রথম ভাগে খাওয়া হয়। বুখারীর অপর বর্ণনায় রয়েছেঃ আমরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে জুমু‘আহ্ আদায় করতাম, অতঃপর ক্বায়লুলাহ্ করতাম। এ হাদীস থেকে ইমাম আহমাদ দলীল গ্রহণ করেছেন যে, জুমু‘আর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) সূর্য ঢলার পূর্বে আদায় করা বৈধ, কেননা ক্বায়লুলাহ্ ও গাদা (সকালের খাবার/দুপুরের খাবার) উভয়ের স্থান হলো সূর্য ঢলার পূর্বে। তিনি ক্বাতাদাহ্ হতে বর্ণনা করেন, সূর্য ঢলার পর ক্বায়লুলাহ্ এবং গাদা অবশিষ্ট থাকে না। জবাবে ‘আমির আল ইয়ামানী (রহঃ) বলেনঃ সাহল (রাঃ) বর্ণিত হাদীস জুমু‘আর সালাত সূর্য ঢলার পূর্বে আদায়ের দলীল নয়। কেননা তারা (সাহাবায়ে কিরামগণ) মক্কা এবং মদীনায় যুহরের পর ছাড়া ক্বায়লুলাহ্ ও দুপুরের খাবার খেতেন না। যেমন- আল্লাহ তা‘আলার কথাঃ

وَحِيْنَ تَضَعُوْنَ ثِيَابَكُمْ مِنَ الظَّهِيرَةِ

‘‘দুপুরের যখন তোমরা বস্ত্র রেখে দাও (বিশ্রামের জন্য)।’’ (সূরাহ্ আন্ নূর ২৪ : ৫৮)

তবে হ্যাঁ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বদাই সূর্য ঢলার প্রথম সময়ে জুমু‘আর সালাত আদায় করতেন, যা যুহরে করতেন না।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)