১৩৯২

পরিচ্ছেদঃ ৪৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পবিত্রতা অর্জন ও সকাল সকাল মসজিদে গমন

১৩৯২-[১২] সাহল ইবনু মু’আয ইবনু আনাস আল জুহানী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জুমু’আর দিনের জামা’আতে যে ব্যক্তি মানুষের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনে যাবার চেষ্টা করবে, কিয়ামতের (কিয়ামতের) দিন তাকে জাহান্নামের ’পুল’ বানানো হবে। (তিরমিযী; তিনি বলেন হাদীসটি গরীব)[1]

وَعَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ الْجُهَنِيِّ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَخَطَّى رِقَابَ النَّاسِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ اتَّخَذَ جِسْرًا إِلَى جَهَنَّمَ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ

وعن سهل بن معاذ بن انس الجهني عن ابيه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «من تخطى رقاب الناس يوم الجمعة اتخذ جسرا الى جهنم» . رواه الترمذي وقال: هذا حديث غريب

ব্যাখ্যা: (يوم الجمعة) মানুষের ঘাঁড় ফেঁড়ে সামনে অতিক্রম করাটা জুমু‘আর দিনের সাথে নির্দিষ্ট হওয়ায় প্রমাণিত হয় যে, নিশ্চয় কারাহিয়্যাত বা ঘৃণ্যতাঁ সেটার (জুমু‘আর) সাথে নির্দিষ্ট। আর বিষয়টা এমনও হতে পারে যে, জুমু‘আর দিনের সাথে মুকাইয়্যাদ বা নির্দিষ্ট করার প্রধান কারণ মানুষের সংখ্যাধিক্য। যা অন্য সকল সালাতের বিপরীত (অন্য সালাতে মানুষের সংখ্যার আধিক্য থাকে না)। সুতরাং তা জুমু‘আর সাথে নির্দিষ্ট নয়। (অর্থাৎ জুমু‘আহ্ ছাড়া অন্য সালাতে লোকসংখ্যা বেশী থাকলে এ কারাহিয়্যাতটা সেক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।) বরং হুকুমটা সকল সালাতের বেলায় প্রযোজ্য।

আল্লামা ‘আয়নী (রহঃ) বলেন, কাতারবদ্ধ মানুষের গর্দান ফেরে সামনে যাওয়া। এটি জুমু‘আর দিনের সাথে নির্দিষ্ট করার ব্যাপারে একাধিক হাদীস উল্লেখ রয়েছে, যেমন অনুরূপ মুকাইয়্যাদ করেছেন ইমাম আত্ তিরমিযী, শাফি‘ঈ মাযহাবীগণ সেটা জুমু‘আর সাথে নির্দিষ্ট করেছেন তাদের ফিকহের কিতাবের জুমু‘আহ্ অধ্যায়ে, অনুরূপ আল উম্মু কিতাবেও তার বক্তব্য রয়েছে এবং তিনি বলেনঃ আমি জুমু‘আর দিনে মানুষের গর্দান চিরে সামনে যাওয়া ঘৃণা করি তাতে বিরক্তিকর ও অভদ্রতা থাকার কারণে। কিন্তু এ কারণটা জুমু‘আহ্ এবং জুমু‘আহ্ ছাড়া অন্য সকল সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) মসজিদে কিংবা মাসজিদ ছাড়াও সকল বৈঠকখানা, দীন শিক্ষার বৈঠক, হাদীস শ্রবণের বৈঠক এবং ওয়াজ-নাসীহাতের বৈঠকগুলোকেও সম্পৃক্ত করে।

অতঃপর তিনি বলেনঃ ইমাম যখন মিম্বার ও মিহরাবের দিকে যাওয়ার জন্য মানুষের গর্দান ফেরে যাওয়া ছাড়া বিকল্প কোন পন্থা না পাবে, তখন তা মাকরূহ হবে না। কেননা তা একান্ত প্রয়োজন এবং ইমাম শাফি‘ঈ থেকেও অনুরূপ বর্ণনা রয়েছে এবং ‘উক্ববাহ্ ইবনু হারিস (রাঃ) বর্ণিত হাদীস সহীহুল বুখারী ও নাসায়ীতে রয়েছে। তিনি বলেনঃ আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে মদীনায় ‘আসর সালাত আদায় করছিলাম। অতঃপর তিনি দ্রুত দাঁড়ালেন এবং কাতারে উপবিষ্ট মানুষের গর্দান ফেঁড়ে তার কোন এক স্ত্রীর কামড়ায় গেলেন। এতেই প্রমাণিত হয় যে, জুমু‘আহ্ ছাড়াও অন্য কোন প্রয়োজনে কাতার ভেঙ্গে গমন করা জায়িয।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)