১৩৭১

পরিচ্ছেদঃ ৪৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জুমু‘আর সালাত ফরয

১৩৭১-[২] আবুল জা’দ আয্ যুমায়রী (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অলসতা ও অবহেলা করে পরপর তিন জুমু’আর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ছেড়ে দিবে, আল্লাহ তা’আলা তার দিলে মুহর লাগিয়ে দেবেন। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ ও দারিমী)[1]

عَنْ أَبِي الْجَعْدِ الضُّمَيْرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَرَكَ ثَلَاثَ جُمَعٍ تَهَاوُنًا بِهَا طَبَعَ اللَّهُ عَلَى قَلْبِهِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ والدارمي

عن ابي الجعد الضميري قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «من ترك ثلاث جمع تهاونا بها طبع الله على قلبه» . رواه ابو داود والترمذي والنساىي وابن ماجه والدارمي

ব্যাখ্যা: আল্লামা শাওকানী (রহঃ) বলেন যে, জুমু‘আহ্ পরিত্যাগ দ্বারা মুত্বলাক্ব বর্জন উদ্দেশ্য হতে পারে, সেটা ধারাবাহিক হোক কিংবা আলাদাভাবেই হোক, এমনকি যদি প্রতি বছরেই জুমু‘আয় তরক হয়, তবে আল্লাহ তা‘আলা তৃতীয় জুমু‘আর পর মুহর মেরে দিবেন এবং এটাই হাদীসের বাহ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রতিয়মান হয়, আর এর দ্বারা তিন জুমু‘আহ্ লাগাতার উদ্দেশ্য হতে পারে। যেমন- দায়লামী কর্তৃক প্রণীত মুসনাদ আল ফিরদাওস গ্রন্থে আনাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস এবং এ হাদীসের সমর্থনে আবূ ইয়া‘লা (রহঃ) বিশুদ্ধ সানাদে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করেন যে,

من ترك الجمعة ثلاث جمع متواليات فقد نبذ الإسلام وراء ظهره.

অর্থাৎ যে ব্যক্তি তিন জুমু‘আহ্ লাগাতার বর্জন করল সে ইসলাম থেকে নিজেকে দূরে ঠেলে দিলো।

কেউ বলেছেন, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো কোন কারণ ছাড়াই বর্জন করা।

‘‘আল লুম্‘আত’’ গ্রন্থে রয়েছে যে, تَهَاوُنٌ দ্বারা উদ্দেশ্য হলোঃ অলসতা করা, সেটা আদায়ে চেষ্টা না করা সেটার প্রতি গুরুত্ব কম দেয়া। তবে تَهَاوُنٌ দ্বারা অবজ্ঞা করা ও তুচ্ছ মনে করা উদ্দেশ্য নয়। কারণ আল্লাহ তা‘আলার কোন ফরযকে তুচ্ছ বা অবজ্ঞা করাটা কুফরী।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)