পরিচ্ছেদঃ ৪১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সফরের সালাত
১৩৫৩-[২১] নাফি’ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) তাঁর পুত্র ’উবায়দুল্লাহ কে সফর অবস্থায় নফল সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতে দেখেছেন। তিনি তাঁকে তা করতে নিষেধ করতেন না। (মালিক)[1]
وَعَنْ نَافِعٍ قَالَ: إِنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَرَى ابْنَهُ عُبَيْدَ اللَّهِ يَتَنَفَّلُ فِي السَّفَرِ فَلَا يُنْكِرُ عَلَيْهِ. رَوَاهُ مَالِكٌ
ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসে স্পষ্টত জটিলতা পরিলক্ষিত হচ্ছে যে, পূর্বে হাফস্ ইবনু ‘আসিম (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, সফরে ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর নফল সালাতের প্রতি অনীহা সংক্রান্ত হাদীস অতিবাহিত হয়েছে।
সমাধানে বলা যায় যে, ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর মতে নিয়মিত সুন্নাত (দৈনিক ১২ রাক্‘আত সুন্নাত) ও মুত্বলাক্ব বা সাধারণ নফল যেমন তাহাজ্জুদ, বিতর এবং সালাতুয্ যুহা ইত্যাদির মাঝে পার্থক্য রয়েছে। সুতরাং পূর্বে আলোচিত হাদীসে তার অনীহা দ্বারা প্রথমটি (নিয়মিত সুন্নাত) উদ্দেশ্য এবং এ হাদীসে তার নীরবতা দ্বারা দ্বিতীয়টি (অর্থাৎ তাহাজ্জুদ, বিতর, যুহা ও অন্যান্য সালাত) উদ্দেশ্য। অতএব সম্ভবত ইবনু ‘উমার (রাঃ) তার পুত্র ‘উবায়দুল্লাহ (রাঃ) নিয়মিত দৈনিক ১২ রাক্‘আত সুন্নাত ব্যতীত অন্যান্য নফল সালাত আদায় করতে দেখেছেন বিধায় তিনি নীরব ছিলেন। (আল্লাহ তা‘আলাই ভাল জানেন)