পরিচ্ছেদঃ ৪১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সফরের সালাত
১৩৫০-[১৮] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ)ও ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তাঁরা বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরের অবস্থায় সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) দু’ রাক্’আত নির্ধারিত করে দিয়েছেন। আর এ দু’ রাক্’আতই হলো (সফরের) পূর্ণ সালাত, ক্বসর নয়। আর সফরে বিতরের সালাত আদায় করা সুন্নাত। (ইবনু মাজাহ)[1]
وَعَن ابْن عَبَّاس وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَا: سَنَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةَ السَّفَرِ رَكْعَتَيْنِ وَهُمَا تَمَامٌ غَيْرُ قَصْرٍ وَالْوِتْرُ فِي السَّفَرِ سنة. رَوَاهُ ابْن مَاجَه
ব্যাখ্যা: ‘‘সাওয়াবের ক্ষেত্রে তা পরিপূর্ণ হয়।’’ অথবা উদ্দেশ্য হলোঃ নিশ্চয় দু’ রাক্‘আত সালাতই সফরের জন্য শারী‘আত কর্তৃক নির্ধারিত। আল্লামা মুল্লা ‘আলী ক্বারী (রহঃ) বলেন যে, তা পূর্ণ ফারযিয়্যাত এবং মৌলিক ফরয থেকে অসম্পূর্ণ নয়। কাজেই আয়াতে কারীমায় فَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَنْ تَقْصُرُوا مِنَ الصَّلَاةِ إِنْ خِفْتُمْ أَنْ يَفْتِنَكُمُ الَّذِينَ كَفَرُوا উল্লেখিত মুত্বলাক্ব ক্বসরটি মাজায বা রূপক অর্থে।