পরিচ্ছেদঃ ৪১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সফরের সালাত
১৩৪৫-[১৩] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সফরে (অর্থাৎ শহরের বাইরে) যেতেন (মুসাফির অবস্থায় হোক অথবা মুক্বীম), নফল সালাত আদায় করতে চাইতেন, তখন উটের মুখ ক্বিবলা (কিবলা/কেবলা)র দিকে করে নিতেন এবং তাকবীরে তাহরীমাহ্ বলে যেদিকে সওয়ারীর মুখ করতেন সেদিকে মুখ করে তিনি সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতেন। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا سَافَرَ وَأَرَادَ أَنْ يَتَطَوَّعَ اسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ بِنَاقَتِهِ فَكَبَّرَ ثُمَّ صَلَّى حَيْثُ وَجهه ركابه. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসে শার‘ঈ দলীল হলো সফরে সওয়ারীর উপর সালাতের শুরুতে তাকবীরের সময় ক্বিবলামুখী হওয়া আবশ্যক। এ বিষয়ে আলোচনা পূর্বে হয়েছে। ইবনুল ক্বইয়্যূম (রহঃ) এ হাদীস উল্লেখ করার পর বলেন, এ হাদীসে যাচাইয়ের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ যারা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওয়ারীর উপর আদায়কৃত সালাতের বর্ণনা দিয়েছেন তারা সকলেই মুত্বলাক্বভাবে বর্ণনা করেছেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওয়ারীর যে কোন দিক থাকা অবস্থায় সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করেছেন, তাতে তাকবীরে তাহরীমা ও অন্য বিষয়ের কোনটি তারা আলাদাভাবে উল্লেখ করেননি বা আলাদা হুকুম বর্ণনা করেনি। যেমন- ‘আমির ইবনু রবী‘আহ্, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার ও জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ এবং তাদের বর্ণিত হাদীসগুলো আনাস (রাঃ)-এর হাদীসের তুলনায় অধিক বিশুদ্ধ।
আমি (মির্‘আত প্রণেতা) বলব, আনাস (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটি সওয়ারীর উপর নফল সালাত তাকবীরে তাহরীমার সময় ক্বিবলামুখী হওয়া ওয়াজিবের দলীল নয়, বরং তা বৈধতা বা উত্তম হওয়ার দলীল।