পরিচ্ছেদঃ ৪১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সফরের সালাত
১৩৪১-[৯] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সফরকালে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সব রকমই করেছেন। তিনি (সফর অবস্থায়) ক্বসরও আদায় করতেন, আবার পূর্ণ সালাত (সালাত/নামায/নামাজ)ও আদায় করতেন। (শারহুস্ সুন্নাহ্)[1]
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ ذَلِكَ قَدْ فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَصَرَ الصَّلَاةَ وَأَتَمَّ. رَوَاهُ فِي شرح السّنة
ব্যাখ্যা: নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরে চার রাক্‘আত বিশিষ্ট সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ক্বসর করতেন এবং পূর্ণও করতেন। এ হাদীস দ্বারা এক শ্রেণীর কথকগণ দলীল পেশ করছেন যে, সফরে ক্বসর করা আবশ্যক নয়। কিন্তু হাদীসটি নিতান্তই য‘ঈফ কারণ এ হাদীসের সানাদে ত্বলহাহ্ ইবনু ‘আমর ইবনু ‘উসমান আল হাজরামী আল মাক্কী রয়েছেন তিনি মাতরূক (বর্জিত রাবী) ইবনু ক্বইয়্যূম (রহঃ) আল হাদী গ্রন্থের ১ম খন্ডের ১২১ পৃষ্ঠায় এ হাদীস উল্লেখ করার পর বলেন যে, আমি শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়্যাহ্ (রহঃ)-এর নিকট শুনেছি, তিনি বলেন যে, সেটা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর মিথ্যারোপ করা। আর তারা আরো দলীল পেশ করেছেন নাসায়ী, দারাকুত্বনী ও বায়হাক্বীতে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর হাদীস দ্বারা। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, আমি রমাযানে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ‘উমরাহ্ করতে বের হয়েছিলাম..... তিনি সালাত ক্বসরও করেছেন এবং পূর্ণ সালাতও আদায় করেছেন। এর জবাবে বলা যায় যে, উল্লেখিত হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ বিশুদ্ধ নয়। দারাকুত্বনী তাঁর ‘‘আল বাদরুল মুনীর’’-এ বলেন যে, আলোচ্য হাদীসের মাতানে অস্বীকৃতি রয়েছে আর তা হলো ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ‘উমরাহ্ করতে রমাযানে বের হওয়া। কারণ সর্বপ্রসিদ্ধ কথা হলো নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চারবারের বেশী ‘উমরাহ্ করেননি এবং প্রতিটি ‘উমরাহ্ ছিল যিলক্বদ-যিলহাজ্জ এর মধ্য অর্থাৎ ইহরাম বাঁধতেন যিলক্বদে আর হাজ্জ (হজ/হজ্জ) সমাধা করতেন যিলহাজ্জে এবং এটাই বুখারী ও মুসলিমের বর্ণনায় সুপ্রসিদ্ধ।
ইবনুল ক্বইয়্যূম (রহঃ) আল হাদী গ্রন্থের (১ম খন্ড, পৃঃ ১৩৩) এ হাদীস উল্লেখ করার পর বলেন যে, আমি শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়্যাহ্ (রহঃ)-এর নিকট শুনেছি যে, এটা ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর উপর মিথ্যারোপ করা ছাড়া কিছুই নয়। কারণ ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সকল সাহাবায়ে কিরামগণের বিপরীত কোন ‘আমল করতে পারেন না।