১৩২৫

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নফল সালাত

১৩২৫-[৪] হুযায়ফাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে চিন্তিত করে তুললে তিনি নফল সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতে দাঁড়িয়ে যেতেন। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا حَزَبَهُ أَمْرٌ صَلَّى. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن حذيفة قال: كان النبي صلى الله عليه وسلم اذا حزبه امر صلى. رواه ابو داود

ব্যাখ্যা: যখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন অস্পষ্ট বিষয়ে দুর্বোধ্য কাজে অবতরণ করতেন, অথবা চিন্তাগ্রস্ত হতেন। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, যখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কোন দুঃচিন্তায় নিপতিত হতেন তখন সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতেন আল্লাহ তা‘আলার এ আয়াত (‘‘তোমরা সালাত ও ধৈর্যের মাধ্যমে সাহায্য চাও’’- সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ ২ : ৪৫) বাস্তবায়নকল্পে। সুতরাং চিন্তাগ্রস্ত ব্যক্তির সালাতে মাশগুল হওয়া উচিত, আল্লাহ তা‘আলা সালাতের বারাকাতে তার পক্ষ থেকে সব মুসীবাত দূর করে দিবেন। আল্লামা ক্বারী (রহঃ) বলেন, এ সালাতকে সালাতুল হাজাত হিসেবে নামকরণ করা উচিত। কারণ সেটা পদ্ধতিগত দিক দিয়ে নির্দিষ্ট নয় (সকল সালাতের মতই) এবং কোন ওয়াক্তের সাথে নির্দিষ্টও নয়।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)