পরিচ্ছেদঃ ৩৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রমাযান মাসের ক্বিয়াম (তারাবীহ সালাত)
১৩০৪-[১০] ’আবদুল্লাহ ইবনু আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উবাইকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমরা রমাযান মাসে ’ক্বিয়াম (কিয়াম)’ অর্থাৎ তারাবীহের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শেষ করে ফিরতাম রাত শেষ হয়ে সাহরীর সময় থাকবে না ভয়ে খাদিমদেরকে তাড়াতাড়ি খাবার দিতে বলতাম। অন্য এক সূত্রের ভাষ্য হলো, ফাজ্রের (ফজরের) সময় হয়ে যাবার ভয়ে (খাদিমদেরকে দ্রুত খাবার দিতে বলতাম)। (মালিক)[1]
وَعَن عبد الله
بن أبي بكر قَالَ: سَمِعت أبي يَقُولُ: كُنَّا نَنْصَرِفُ فِي رَمَضَانَ مِنَ الْقِيَامِ فَنَسْتَعْجِلُ الْخَدَمَ بِالطَّعَامِ مَخَافَةَ فَوْتِ السَّحُورِ. وَفِي أُخْرَى مَخَافَة الْفجْر. رَوَاهُ مَالك
ব্যাখ্যা: তারাবীহের সালাতের ক্ষেত্রে, আল্লামা ক্বারী (রহঃ) বলেন যে, এটাকে قِيَامِ رَمَضَانَ (ক্বিয়ামে রমাযান) নামকরণের কারণ হলো সাহাবায়ে কিরামগণ দীর্ঘ ক্বিয়াম (কিয়াম) করতেন।
ফাজ্র (ফজর) উদয় হলে সাহরীর সময় শেষ হয়ে যাবে। এ মর্মে আল্লামা বাজী (রহঃ) বলেন যে, এটা (অর্থাৎ সাহরীর সময় শেষ হওয়ার আশংকা) যারা শেষ রাত্রিতে সর্বদা রাত্রি জাগরণ করেন তাদের জন্য অথবা যারা রাতের ক্বিয়ামকে রাতের শেষাংশের সাথে খাস মনে করেন তাদের জন্য। অতএব যারা বলেন, (তাদের মধ্যে ‘উমার (রাঃ) রয়েছেন) রাতের প্রথমাংশে জাগরণ থেকে ঘুমানোই উত্তম, এটা তাদের জন্য প্রযোজ্য নয়। এটা রাতে ক্বিয়ামের ক্ষেত্রে মানুষদের বিভিন্ন অবস্থারই দলীল প্রদান করছে। তাদের কেউ কেউ (সাহাবী ও তাবি‘ঈগণ) রাতের প্রথমাংশে ক্বিয়াম (কিয়াম) করতেন, কেউ কেউ শেষাংশে, আবার কেউ কেউ সর্বদাই শেষ রাত্রে ক্বিয়াম করতেন।