পরিচ্ছেদঃ ৩৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - বিতরের সালাত
১২৮০-[২৭] ইমাম মালিক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি জানতে পারলেন যে, এক লোক ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ)-এর নিকট বিতরের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ওয়াজিব কি-না তা প্রশ্ন করল। ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) বললেন, বিতরের সালাত রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদায় করেছেন এবং মুসলিমরাও (সাহাবীগণ) আদায় করেছেন। ঐ লোক বারবার একই বিষয় জিজ্ঞেস করতে থাকেন। ইবনু ’উমার (রাঃ)ও একই উত্তর দিতে থাকেন যে, বিতরের সালাত রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদায় করেছেন এবং মুসলিমরাও আদায় করেছেন। (মুয়াত্ত্বা)[1]
وَعَنْ مَالِكٍ بَلَغَهُ أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ ابْنَ عُمَرَ عَنِ الْوِتْرِ: أَوَاجِبٌ هُوَ؟ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: قَدْ أَوْتَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَوْتَرَ الْمُسْلِمُونَ. فَجَعَلَ الرَّجُلُ يُرَدِّدُ عَلَيْهِ وَعَبْدُ اللَّهِ يَقُولُ: أَوْتَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَوْتَرَ الْمُسْلِمُونَ. رَوَاهُ فِي الْمُوَطَّأ
ব্যাখ্যা: ইবনু ‘উমার (রাঃ) এক ব্যক্তির জবাবে বললেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করেছেন এবং সকল মুসলিমগণ। এ ব্যাপারে মুল্লা ‘আলী ক্বারী (রহঃ) বলেন যে, ইবনু ‘উমার (রাঃ) প্রমাণিত বিষয় থেকে দলীল গ্রহণ করা থেকে বিরত থেকেছেন। যেন তিনি (ক্বারী) বুঝাতে চাচ্ছেন বিতর ওয়াজিব, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তার উপর অবিচল থাকা ও আহলুল ইসলামদের ঐকমত্যই তার দলীল।
জবাবে মির্‘আত প্রণেতা বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোন কর্মে সর্বদা অবিচল থাকাটা তখনই ওয়াজিব হিসেবে পরিগণিত হবে, যখন তা মানদূব বা মুসতাহাবে স্থানান্তরিত হওয়ার কোন বর্ণনা না পাওয়া যাবে। কিন্তু এ ব্যাপারে তো সহীহ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, বিতর ওয়াজিব নয়। কাজেই ইবনু ‘উমার (রাঃ) জানতেন যে, বিতর সালাত সুন্নাত এবং তার উপরই ‘আমল রয়েছে এবং তার নির্ধারিত পথ ও পন্থা সম্পর্কেও জানতেন। যদি তা ওয়াজিবই হত তবে তিনি স্পষ্টভাবে তার আবশ্যকতা সম্পর্কে বলতেন।
আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেন যে, বিতর ওয়াজিব কি ওয়াজিব নয় কোনটি ফেলে দেবার মত নয়, কেননা যখন আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও তাঁর সাহাবীগণের তার (বিতর) উপর অবিচল থাকার দিকে লক্ষ্য করি তখন আমি মনে করি যে, বিতর ওয়াজিব, আর যখন পূর্ণ নস্ বা মূল বক্তব্যের প্রতি লক্ষ্য করি তখন আমি বিতরের আবশ্যক থেকে পিছু হটি বা ফিরে আসি।
তবে মির্‘আত প্রণেতা বলেন- বিতর ওয়াজিবের ব্যাপারে যে কোন নির্ভরযোগ্য হাদীস নেই এতে কোন সন্দেহ নেই। বরং নির্ভরযোগ্য ও সহীহ হাদীস প্রমাণ করে যে, বিতর মুস্তাহাব; এর এটাই স্পষ্ট আলামত যে, বিতর সুন্নাত, ওয়াজিব নয়। হ্যাঁ, তবে তা সকল সুন্নাত থেকে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। আর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরবর্তী সাহাবীগণের তার (বিতরের) উপর অবিচল থাকাটা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাতের উপর অবিচল থাকার মতই।