১২৫৬

পরিচ্ছেদঃ ৩৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিতরের সালাত

১২৫৬-[৩] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাত্রে (তাহাজ্জুদের সময়) তের রাক্’আত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতেন। তের রাক্’আতের মাঝে পাঁচ রাক্’আত বিতর। আর এর মাঝে (পাঁচ রাক্’আতের) শেষ রাক্’আত ব্যতীত কোন রাক্’আতে ’তাশাহুদ’ পড়ার জন্যে বসতেন না। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ الْوِتْرِ

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ ثَلَاثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً يُوتِرُ مِنْ ذَلِكَ بِخَمْسٍ لَا يَجْلِسُ فِي شَيْء إِلَّا فِي آخرهَا

وعن عاىشة رضي الله عنها قالت: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يصلي من الليل ثلاث عشرة ركعة يوتر من ذلك بخمس لا يجلس في شيء الا في اخرها

ব্যাখ্যা: (لَا يَجْلِسُ فِي شَيْء إِلَّا فِي اخرهَا) এটা পাঁচ রাক্‘আত বিতর একই বৈঠকে আদায় করার শার‘ঈ দলীল। অতএব বিতর সালাতে প্রতি দু’ রাক্‘আতের শেষে বৈঠক দেয়া ওয়াজিব নয়। উপরোক্ত হাদীস দ্বারা তাদের কথা প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে যারা বলেন যে, বিতর সালাত তিন রাক্‘আতে সীমাবদ্ধ এবং প্রতি দু’ রাক্‘আতে বৈঠক ওয়াজিব। তিরমিযী (রহঃ) বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবায়ে কিরামদের বিদ্বানগণ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে, বিতর পাঁচ রাক্‘আত বিধান সম্মত এবং শেষ রাক্‘আত ছাড়া কোন বৈঠক হবে না। এ ব্যাপারে কিতাবুল উম্ম ৭ম খন্ডের ১৮৯ পৃষ্ঠায় রাবী ইবনু সুলায়মান হতে বর্ণিত, তিনি এক রাক্‘আত বিতর সম্পর্কে ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন যার পূর্বে কোন সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) নেই? অতঃপর ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ) বলেন, হ্যাঁ। তবে আমি ১০ রাক্‘আত সালাত আদায় করে, তারপর এক রাক্‘আত বিতর আদায় করাকে পছন্দ করি।

অতঃপর তিনি এ বিষয়ে তার থেকে দলীল বর্ণনা করেন। আবার তিনি (রাবী ইবনু সুলায়মান) বলেন, ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ) বর্ণনা করেছেনঃ আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন ‘আবদুল মাজীদ ..... ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঁচ রাক্‘আত বিতর আদায় করতেন এবং শেষ রাক্‘আত ব্যতীত কোন বৈঠকে বসতেন না।

আলোচ্য হাদীসটি হানাফী মাযহাবধারীদের উপর বড়ই জটিল। কেননা তারা বলেন যে, ফরয নফল প্রত্যেক সালাতের প্রতি দু’ রাক্‘আতে বৈঠক ও তাশাহহুদ পড়া ওয়াজিব।

আরো স্পষ্ট যে, বিতর সালাত পাঁচ রাক্‘আত সহীহ হাদীসে আছে; এটি ছাড়াও পাঁচ রাক্‘আত বিতরের অনেক হাদীস রয়েছে, যা ইমাম আত্ তিরমিযী, আবূ দাঊদ, নাসায়ী ও বায়হাক্বী (৩য় খন্ড, পৃঃ ২৭, ২৮) সহ অনেক হাদীস বিশারদগণ বর্ণনা করেছেন। ইমাম শাওকানী তা নায়লুল আওতারে উল্লেখ করেছেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)