পরিচ্ছেদঃ ৩১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রাতের সালাত
১২০৯-[২২] হুমায়দ ইবনু ’আবদুর রহমান ইবনু ’আওফ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এক সাহাবী থেকে বর্ণনা করেছেন, একবার আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সফরে গিয়েছিলাম। (তখন আমি মনে মনে চিন্তা করলাম) আল্লাহর শপথ! রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাজ্জুদের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতে উঠলে তাঁকে আমি সালাতের সময় দেখতে থাকব। যাতে তিনি কিভাবে সালাত আদায় করেন তা আমি দেখতে পাই (পরে আমি সেভাবে ’আমল করব)। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’ইশার সালাত, যাকে ’আত্বামাহ্ বলা হয়, আদায় করার পর ঘুমিয়ে গেলেন (কিছু সময় আরাম করলেন)। তারপর তিনি সজাগ হলেন। তারপর আকাশের দিকে তাকালেন ও এ আয়াত, ’’রব্বানা- মা- খালাকতা হা-যা- বা-ত্বিলান..... ইন্নাকা লা- তুখলিফুল মি’আ-দ’’- (সূরাহ্ আ-লি ’ইমরান ৩: ১৯১-১৯৪) পর্যন্ত তিলাওয়াত করলেন।
তারপর তিনি বিছানার দিকে গেলেন। মিসওয়াক বের করলেন। এরপর তাঁর নিকট রাখা পানির পাত্র হতে পানি বের করলেন। মিসওয়াক করলেন। উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করলেন। সালাতে দাঁড়িয়ে গেলেন। সালাত শেষ হওয়ার পর আমি মনে মনে বললাম, যত সময় তিনি ঘুমিয়েছেন তত সময় তিনি সালাত আদায় করেছেন। তারপর তিনি ঘুমিয়ে গেলেন। শেষে আমি মনে মনে বললাম, যত সময় তিনি সালাত আদায় করেছেন তত সময় তিনি ঘুমিয়েছিলেন। এরপর তিনি সজাগ হলেন। আবার ওসব কাজ করলেন যা পূর্বে করেছিলেন এবং তাই বললেন যা পূর্বে বলেছিলেন (অর্থাৎ মিসওয়াক, উল্লিখিত আয়াত ইত্যাদি)। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাজ্রের (ফজরের) পূর্ব পর্যন্ত এভাবে তিনবার করলেন। (নাসায়ী)[1]
وَعَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ قَالَ: أَنَّ رَجُلًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: قُلْتُ وَأَنَا فِي سَفَرٍ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَاللَّهِ لَأَرْقُبَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلصَّلَاةِ حَتَّى أَرَى فِعْلَهُ فَلَمَّا صَلَّى صَلَاةَ الْعِشَاءِ وَهِيَ الْعَتَمَةُ اضْطَجَعَ هَوِيًّا مِنَ اللَّيْلِ ثُمَّ اسْتَيْقَظَ فَنَظَرَ فِي الْأُفُقِ فَقَالَ: (رَبنَا مَا خلقت هَذَا بَاطِلا)
حَتَّى بَلَغَ إِلَى (إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ)
ثُمَّ أَهْوَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى فِرَاشِهِ فَاسْتَلَّ مِنْهُ سِوَاكًا ثُمَّ أَفْرَغَ فِي قَدَحٍ مِنْ إِدَاوَةٍ عِنْدَهُ مَاءً فَاسْتَنَّ ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى حَتَّى قُلْتُ: قَدْ صَلَّى قَدْرَ مَا نَامَ ثُمَّ اضْطَجَعَ حَتَّى قُلْتُ قَدْ نَامَ قَدْرَ مَا صَلَّى ثُمَّ اسْتَيْقَظَ فَفَعَلَ كَمَا فَعَلَ أَوَّلَ مَرَّةٍ وَقَالَ مِثْلَ مَا قَالَ فَفَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثٌ مَرَّاتٍ قَبْلَ الْفَجْرِ. رَوَاهُ النَّسَائِيّ
ব্যাখ্যা: (فَاسْتَلَّ مِنْهُ سِوَاكًا) তিনি তা থেকে মিসওয়াক নিলেন অর্থাৎ তিনি বিছানার দিকে অগ্রসর হয়ে তা থেকে ধীরে সুস্থে একটি মিসওয়াক বের করলেন। (فَاسْتَنَّ) অতঃপর তিনি দাঁত ঘষলেন। অর্থাৎ মিসওয়াক দাঁতের উপর রেখে তা দিয়ে দাঁত ঘষলেন। (فَفَعَلَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ ثَلَاثً مَرَّاتٍ قَبْلَ الْفَجْرِ) উপরে বর্ণিত কাজগুলো রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাজ্রের (ফজরের) আগ পর্যন্ত তিনবার করলেন।