পরিচ্ছেদঃ ৩১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রাতের সালাত
১২০৪-[১৭] আবূ ক্বাতাদাহ্ (রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক রাত্রে বাইরে এসে আবূ বকরকে সালাতরত অবস্থায় পেলেন। তিনি নীচু শব্দে কুরআন পাঠ করছিলেন। এরপর তিনি ’উমারের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি উচ্চ শব্দ করে কুরআন মাজীদ পাঠ করছিলেন। আবূ ক্বাতাদাহ্ বলেন, (সকালে) যখন আবূ বকর ও ’উমার (রাঃ) দু’জনে রসূলের খিদমাতে একত্র হলেন; তিনি বললেন, আবূ বকর! আজ রাত্রে আমি তোমার নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। তুমি নীচুস্বরে কুরআন কারীম পড়ছিলে। আবূ বকর আবেদন করলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি যাঁর নিকট মুনাজাত করছিলাম, তাঁকেই জানাচ্ছিলাম। তারপর তিনি ’উমার (রাঃ) কে বললেন, হে ’উমার! (আজ রাত্রে) আমি তোমার নিকট দিয়েও যাচ্ছিলাম। তুমি সালাতে উঁচু শব্দে কুরআন মাজীদ পাঠ করছিলে। ’উমার (রাঃ) আবেদন করলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি উঁচু শব্দে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে ঘুমে থাকা লোকগুলোকে সজাগ করছিলাম আর শায়ত্বন (শয়তান)-কে তাড়াচ্ছিলাম। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (দু’জনের কথা শুনে আবূ বকরকে) বললেন, আবূ বকর! তুমি তোমার শব্দকে আরো একটু উঁচু করবে। (’উমার (রাঃ) কে বললেন) ’উমার! তুমি তোমার আওয়াজকে আরো একটু নীচু করবে। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী)[1]
وَعَنْ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ لَيْلَةً فَإِذَا هُوَ بِأَبِي بَكْرٍ يُصَلِّي يَخْفِضُ مِنْ صَوْتِهِ وَمَرَّ بِعُمَرَ وَهُوَ يُصَلِّي رَافِعًا صَوْتَهُ قَالَ: فَلَمَّا اجْتَمَعَا عِنْدَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَا أَبَا بَكْرٍ مَرَرْتُ بِكَ وَأَنْتَ تُصَلِّي تَخْفِضُ صَوْتَكَ» قَالَ: قَدْ أَسْمَعْتُ مَنْ نَاجَيْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَقَالَ لِعُمَرَ: «مَرَرْتُ بِكَ وَأَنْتَ تُصَلِّي رَافِعًا صَوْتَكَ» فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أُوقِظُ الْوَسْنَانَ وَأَطْرُدُ الشَّيْطَانَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا أَبَا بَكْرٍ ارْفَعْ مِنْ صَوْتِكَ شَيْئًا» وَقَالَ لِعُمَرَ: «اخْفِضْ مِنْ صَوْتِكَ شَيْئًا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وروى التِّرْمِذِيّ نَحوه
ব্যাখ্যা: (قَدْ أَسْمَعْتُ مَنْ نَاجَيْتُ) (আবূ বাকর বললেন) আমি যার সাথে কথা বলেছি তাকে শুনিয়েছি। অর্থাৎ সালাতে আমি আমার রবের সাথে কথা বলি। তিনি সবই শোনেন, তিনি তো উঁচু আওয়াজের মুখাপেক্ষী নন।
(أُوقِظُ الْوَسْنَانَ) (‘উমার (রাঃ) বললেন) আমি ঘুমন্তদের জাগাই অর্থাৎ এমন সব ব্যক্তি যারা গভীর ঘুমে নিমগ্ন অথচ তন্দ্রা তাদের উপর চেপে বসেছে তাদের জাগিয়ে দেই।
হাদীসের শিক্ষাঃ
১। কর্মে মধ্যমপন্থা অবলম্বনের নির্দেশ যা উত্তম পন্থা হিসেবে বিবেচিত।
২। কারো মধ্যে ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে তা পরিবর্তনের জন্য হস্তক্ষেপ করা। তার এটাই সঠিক পথের সন্ধান দানকারীদের অভ্যাস।